যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক বন্যা, মৃতের সংখ্যা ২৩ ছাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এবং মধ্যাঞ্চলে গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টেক্সাস থেকে ওহাইও পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা জুড়ে এই দুর্যোগে অন্তত ২৩ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বিভিন্ন শহরে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষার জন্য বালু বস্তা দিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা চলছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিন কেন্টাকি, টেনেসী ও আলাবামাতে বন্যার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
বন্যার কারণে অনেক নদীর জল বিপদসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। কিছু কিছু স্থানে নদীর জল বিপদসীমা অতিক্রম করে নতুন নতুন জনপদ প্লাবিত করছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উষ্ণ তাপমাত্রা, অস্থির বাতাস, শক্তিশালী বায়ুপ্রবাহ এবং উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে আসা প্রচুর জলীয় বাষ্পের কারণে এই ভয়াবহ আবহাওয়া সৃষ্টি হয়েছে।
কেন্টাকির ফ্রাঙ্কফোর্ট, কোভিнгтон, সিনসিনাটি, জেফার্সনটাউন, সেলমার, ন্যাাপোলিয়ন, লুইভিলে এবং মন্টেরি সহ বেশ কয়েকটি শহরের বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
বন্যার পানিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় অনেক এলাকার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
বন্যার ভয়াবহতা এতটাই বেশি যে, অনেক এলাকার দৃশ্য দেখলে মনে হচ্ছে যেন ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়ে আছি। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে গাড়ি, ডুবে গেছে বাড়িঘর।
কেন্টাকির ফ্রাঙ্কফোর্টে, নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় শহরটির অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। একই অবস্থা টেনেসীর সেলমার এবং অন্যান্য শহরগুলোতেও।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ দ্রুত পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।
তবে, আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিন এই অঞ্চলের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের জীবনহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে পুরো অঞ্চলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস।