কিনশাসার ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, ত্রাণ তৎপরতা নিয়ে ক্ষোভ
কিনশাসা, ডিআরসি (সংবাদ সংস্থা): ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী কিনশাসায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে এবং হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ দ্রুতগতিতে দুর্গতদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণে নদ-নদীগুলো বিপদসীমা অতিক্রম করে। এর ফলে শহরের অর্ধেকের বেশি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ জনে।
কঙ্গোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাকমেইন শাবানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানান, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
গত সপ্তাহে শুরু হওয়া এই বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শহরটির নিঝিলি নদী সংলগ্ন এলাকা। শুক্রবার নদী উপচে পড়ায় বহু ঘরবাড়ি জলের নিচে তলিয়ে যায়।
সোমবার সকাল পর্যন্ত কিছু রাস্তা জলমগ্ন থাকায় যান চলাচল ব্যাহত হয়।
বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা সরকারের ত্রাণ তৎপরতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মারি নজোলা নামের এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা সবকিছু হারিয়েছি। বৃষ্টির কারণে রাতে আমরা কিছুই সরিয়ে নিতে পারিনি।” অনেক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, দুর্যোগের সময় সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়নি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেয়াল ধসে পড়ায় বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, বন্যায় খাবার পানির সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় অন্তত ১৬টি এলাকায় তীব্র জল সংকট দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ক্লিমেন্ট মাতওয়িদি সরকারের কাছে আরও বেশি ত্রাণ সহায়তা চেয়েছেন। তিনি বলেন, “বন্যার কারণে সব শেষ হয়ে গেছে, আমরা এখন সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।”
সরকার জানিয়েছে, তারা বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষদের জন্য চারটি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে। সেখানে কয়েকশ’ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালেও কিনশাসায় ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এই দুর্যোগের মধ্যেই সরকার দেশটির পূর্বাঞ্চলে মানবিক সংকট মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। রুয়ান্ডা সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীর সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে সেখানকার হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
কিনশাসা থেকে প্রায় ২,৬০০ কিলোমিটার দূরে এই সংকট চলছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা