মহাকাশে নতুন দিগন্ত, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) যাত্রা করলো রুশ-মার্কিন নভোচারী দল।
কাজাখস্তানের বাইকনুর কসমোড্রোম থেকে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৪৭ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা ৪৭ মিনিট) একটি সয়ুজ রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়। এই রকেটে ছিলেন মার্কিন নভোচারী জোনাথন কিম এবং রুশ নভোচারী সের্গেই রাইজিকভ ও অ্যালেক্সি জুব্রিটস্কি।
কয়েক ঘণ্টা পর, রকেটটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের সঙ্গে সফলভাবে মিলিত হয়।
বর্তমান বিশ্বে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও, মহাকাশ গবেষণা এখনো তাদের মধ্যে সহযোগিতার একটি বিরল ক্ষেত্র হিসেবে বিদ্যমান। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, কিন্তু মহাকাশে একসঙ্গে কাজ করা অব্যাহত রয়েছে।
এই মিশনের মূল উদ্দেশ্য হলো মহাকাশে প্রায় ৫০টি বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনা করা। নভোচারীরা আগামী ৯ই ডিসেম্বর পৃথিবীতে ফিরবেন বলে জানা গেছে।
সয়ুজ রকেটটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ সজ্জায় সজ্জিত ছিল।
মহাকাশ অভিযানে দুই দেশের এই সহযোগিতা ১৯৭৫ সাল থেকে চলে আসছে। সে বছর, যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে প্রথম একটি যৌথ আন্তর্জাতিক মহাকাশ মিশন হয়, যেখানে অ্যাপোলো এবং সয়ুজ মহাকাশযান মিলিত হয়েছিল।
সেই মিশনটি ঠান্ডা যুদ্ধের সময়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির প্রতীক ছিল।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে তারা নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা করছে। ২০২৭ সালে এর প্রথম দুটি মডিউল উৎক্ষেপণ করা হতে পারে।
রাশিয়া বর্তমানে চীনসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গেও মহাকাশ সহযোগিতা বৃদ্ধি করছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা