চীনা কৃষকদের নিয়ে মন্তব্যের জেরে তোলপাড়!

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভেন্সের ‘চীনা কৃষক’ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বেইজিং-এর তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের সমর্থনে কথা বলতে গিয়ে সম্প্রতি ফক্স নিউজের এক সাক্ষাৎকারে ভাইস প্রেসিডেন্ট এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “বৈশ্বিক অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রকে কি দিয়েছে? এর উত্তর হল, আমরা মূলত এমন দুটি নীতির ওপর দাঁড়িয়ে আছি – অন্য দেশগুলোতে উৎপাদিত পণ্য কেনার জন্য বিপুল পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করা।

বিষয়টি আরও পরিষ্কার করে বলতে গেলে, আমরা চীনা কৃষকদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তাদের তৈরি করা জিনিস কিনি।”

ভেন্সের এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান একে ‘অজ্ঞতা ও অশ্রদ্ধাপূর্ণ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, চাপ, হুমকি ও ব্ল্যাকমেইল – চীনের সঙ্গে আলোচনার সঠিক পথ এগুলো নয়।

ভাইস প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যের পর চীনা সামাজিক মাধ্যমগুলোতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

একজন ব্যবহারকারী উইবোতে লিখেছেন, “আমরা হয়তো কৃষক, কিন্তু আমাদের রয়েছে বিশ্বের সেরা দ্রুতগতির রেল ব্যবস্থা, সবচেয়ে শক্তিশালী লজিস্টিকস ব্যবস্থা এবং অত্যাধুনিক এআই, স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং ও ড্রোন প্রযুক্তি।

এমন কৃষক কি খুব একটা প্রভাবশালী নয়?”

প্রসঙ্গত, ট্রাম্প প্রশাসন চীনের বাণিজ্য নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।

চীন যদি তাদের বাণিজ্য নীতি পরিবর্তন না করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে পারে বলে জানা গেছে।

ট্রাম্প এর আগে চীনের থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, চীন যদি আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে তাদের বাণিজ্য নীতির পরিবর্তন না করে, তবে ৯ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবে।

ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন শেয়ার বাজারে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বাণিজ্য যুদ্ধ বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও পড়তে পারে।

কারণ, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার বাণিজ্য সম্পর্ক বিশ্ব অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *