ইউক্রেনে রুশ সেনাবাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করার সময় দুই জন চীনা নাগরিককে বন্দী করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই খবর জানান। তিনি বলেন, ইউক্রেনীয় সেনারা ওই চীনা নাগরিকদের ব্যক্তিগত কাগজপত্র, ব্যাংক কার্ড এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করেছে।
জেলেনস্কি তার টেলিগ্রাম পোস্টে বলেছেন, “আমাদের কাছে খবর আছে যে, রুশ সেনাদের ইউনিটে এই দুজনের চেয়েও অনেক বেশি চীনা নাগরিক রয়েছে। আমরা এখন সব তথ্য যাচাই করছি।
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছি, অবিলম্বে বেইজিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চান চীন কিভাবে এর প্রতিক্রিয়া জানাবে।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের মতে, “ইউরোপের এই যুদ্ধে রাশিয়ার সরাসরি বা পরোক্ষভাবে চীনের জড়িত হওয়াটা একটা স্পষ্ট ইঙ্গিত যে, পুতিন যুদ্ধ বন্ধ করার বদলে অন্য কিছু করতে চাইছে। তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজছেন।
এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক মহলে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে চীনের এই সংশ্লিষ্টতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, চীন দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে।
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্কও বেশ জোরালো। এমন পরিস্থিতিতে, চীনা নাগরিকদের ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িত থাকার বিষয়টি অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা রাশিয়া ও চীনের মধ্যেকার সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। একইসঙ্গে, এটি যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নিয়েও নতুন করে আলোচনার জন্ম দেবে।
ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে চীনের প্রতিক্রিয়া জানার অপেক্ষায় বিশ্ব। তারা চাইছে, বেইজিং এই বিষয়ে দ্রুত তাদের অবস্থান পরিষ্কার করুক।
তথ্য সূত্র: সিএনএন