বিদেশি বিতাড়নে: ডেটা শেয়ার করবে সরকার, বাড়ছে আতঙ্ক!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, অভ্যন্তরীণ রাজস্ব পরিষেবা (আইআরএস) এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস) একটি নতুন চুক্তিতে পৌঁছেছে। এই চুক্তির ফলে, আইআরএস এখন অভিবাসন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে করদাতার গোপন তথ্য শেয়ার করতে পারবে।

মূলত, এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হল, যাদের বিতাড়িত করার নির্দেশ রয়েছে অথবা যারা অভিবাসন আইন ভেঙেছেন, এমন অবৈধ অভিবাসীদের খুঁজে বের করা এবং তাদের বিতাড়নে সহায়তা করা।

চুক্তি অনুযায়ী, ডিএইচএস-এর অনুরোধের ভিত্তিতে আইআরএস সেই সব করদাতাদের তথ্য সরবরাহ করবে যাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বিতাড়নের নির্দেশ জারি হয়েছে অথবা ফেডারেল অপরাধের তদন্ত চলছে। এই অপরাধের মধ্যে রয়েছে দেশ ছাড়তে ব্যর্থ হওয়া।

এই চুক্তির ফলে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সমালোচকদের মতে, এটি করদাতাদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে এবং অবৈধ অভিবাসীদের কর দিতে নিরুৎসাহিত করবে।

অন্যদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন এই চুক্তির পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলছে, এটি অভিবাসন আইন কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় এবং আইনসম্মত। যদিও বিষয়টির আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কারণ এর বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মামলা হয়েছে।

আদালতের নথিপত্র অনুযায়ী, এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন তৎকালীন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম। তবে, চুক্তির বিস্তারিত কিছু অংশ গোপন রাখা হয়েছে।

এর ফলে আইআরএস ঠিক কী তথ্য সরবরাহ করবে, তা সম্পূর্ণরূপে বোঝা যাচ্ছে না।

আইআরএস-এর মতে, এই চুক্তির মূল ভিত্তি হল কংগ্রেস কর্তৃক প্রদত্ত দীর্ঘদিনের ক্ষমতা। এর মাধ্যমে আইন মান্যকারীদের গোপনীয়তা রক্ষা করার পাশাপাশি অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে।

তবে, এই চুক্তির ফলে অনেকে আশঙ্কা করছেন, এর কারণে অবৈধ অভিবাসীরা হয়রানির শিকার হতে পারেন এবং ভবিষ্যতে তারা কর দিতে ভয় পেতে পারেন।

কারণ, কর প্রদান তাদের জন্য একটি সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে। এর মাধ্যমে তারা প্রমাণ করতে পারেন যে, তারা দেশের নিয়ম মেনে চলেন।

জানা গেছে, অভিবাসন অধিকার সংস্থাগুলো আইআরএসকে তথ্য হস্তান্তরে বাধা দিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। তাদের মতে, এই চুক্তি বেআইনি এবং এর মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের কাছে করদাতাদের গোপন তথ্য উন্মোচনের সুযোগ তৈরি হবে।

এদিকে, বিচার বিভাগ জানিয়েছে, এই চুক্তি আইন মেনেই করা হয়েছে। তাদের মতে, এর মাধ্যমে ফেডারেল ট্যাক্স কোড মেনে তথ্য আদান-প্রদান করা হবে এবং তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *