যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব বাণিজ্য নিয়ে নতুন করে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বুধবার থেকে এই শুল্কগুলি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
বাণিজ্য অংশীদার দেশগুলোর উপর এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে, তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। খবর অনুযায়ী, চীন এর বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের ফলে বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। কারণ, এর ফলে পণ্যের দাম বাড়বে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জটিলতা সৃষ্টি হবে।
বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের শুল্ক আরোপের ফলে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
জানা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তি করার চেষ্টা করছে। তাঁর মতে, এই শুল্কগুলি দর কষাকষির একটি কৌশল হতে পারে।
তবে, অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, এর ফলে একটি বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হতে পারে, যা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অনেকে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। কিছু ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদ এই শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছেন।
যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী র্যাচেল রিভস বলেছেন, তাঁর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি চাইছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, বাণিজ্য যুদ্ধ কারো জন্যই ভালো নয়।
অন্যদিকে, চীন এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছে। তারা এটিকে “নগ্ন ব্ল্যাকমেইল” হিসেবে অভিহিত করেছে এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছে।
চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা তাদের স্বার্থ রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।
এই পরিস্থিতিতে, বিশ্ব বাজারের উপর এর প্রভাব ইতোমধ্যে পড়তে শুরু করেছে। বিভিন্ন দেশের শেয়ার বাজারে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিতেও প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে, পোশাক শিল্প এবং অন্যান্য রপ্তানিমুখী শিল্পগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
অতএব, ট্রাম্পের এই বাণিজ্য নীতির কারণে বিশ্ব অর্থনীতি এক নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। বাণিজ্য যুদ্ধ এড়াতে দেশগুলোকে আলোচনার মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছাতে হবে, যা সকলের জন্য উপকারী হবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান