ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে সুপ্রিম কোর্টের বড় জয়, বরখাস্ত কর্মীদের চাকরি ফেরার সম্ভবনাে অনিশ্চয়তা!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কর্মীদের বরখাস্ত করার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের একটি সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের এই পদক্ষেপের ফলে, ২০১৬ সালে বরখাস্ত হওয়া প্রায় ১৬,০০০ কর্মীকে পুনরায় কাজে বহাল করার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তা আপাতত স্থগিত হয়ে গেল।

জানা গেছে, এই কর্মীদের বরখাস্ত করার কারণ হিসেবে পারফরম্যান্সের অভাবের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।

এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, যে সংস্থাগুলি বরখাস্ত হওয়া কর্মীদের পক্ষে মামলা করেছিল, তাদের এই বিষয়ে আইনি অধিকার ছিল না। আদালতের মতে, এই ধরনের মামলায় কোনো অলাভজনক সংস্থার সরাসরি মামলা করার এখতিয়ার নেই।

এই রায়ের ফলে, নিম্ন আদালতের দেওয়া কর্মীদের পুনর্বহালের নির্দেশ আপাতত কার্যকর হচ্ছে না। তবে, এই রায়ে বরখাস্তের কারণ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, ট্রাম্প প্রশাসনের সময় নেওয়া অনেক সিদ্ধান্ত এর আগে বিভিন্ন আদালতে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছিল। এই রায়ের মাধ্যমে, সুপ্রিম কোর্ট সম্ভবত সেই প্রশাসনের প্রতি কিছুটা সমর্থন জানাল।

তবে, এই জয় ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ, মেরিল্যান্ডের একটি আদালত একই ধরনের একটি মামলায়, কর্মীদের পুনর্বহাল করার নির্দেশ বহাল রেখেছে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে এখনো কর্মীদের ফিরিয়ে নিতে হবে।

মেরিল্যান্ডের আদালতের এই সিদ্ধান্ত, ১৯টি রাজ্য এবং ওয়াশিংটন ডিসির সরকারের দায়ের করা একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে শুনানিতে জানা যায়, কর্মীদের অফিস অব পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট (Office of Personnel Management) থেকে একটি ইমেইল পাঠানো হয়েছিল, যেখানে তাদের পারফরম্যান্সের অভাবের কারণে চাকরি হারানোর কথা জানানো হয়।

আদালতের বিচারপতি উইলিয়াম অ্যালসপ (William Alsup) এই বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, কর্মীদের মিথ্যা কারণ দেখিয়ে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “সরকারের এমন কাজ খুবই দুঃখজনক।”

এই মামলার শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত সলিসিটর জেনারেল সারা হ্যারিস (Sarah Harris) যুক্তি দেন, বিচারক অ্যালসপ তার ক্ষমতার বাইরে গিয়ে এই নির্দেশ দিয়েছেন। হ্যারিসের মতে, কর্মীদের পুনর্বহালের এই নির্দেশ ক্ষমতা বিভাজন নীতির লঙ্ঘন।

এই মামলার রায় এবং এর পেছনের ঘটনাপ্রবাহ বাংলাদেশের সরকারি চাকরি এবং বিচার বিভাগের ক্ষমতা সম্পর্কে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিতে পারে। আমাদের দেশেও প্রায়ই কর্মীদের চাকরিচ্যুত করা এবং সেই সংক্রান্ত আইনি জটিলতা দেখা যায়। এই ধরনের মামলাগুলোতে আদালতের ভূমিকা এবং সরকারি নীতির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *