মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দেশ থেকে বিতাড়িত করার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রমাণ চেয়েছেন দেশটির একজন বিচারক। লুইজিয়ানার জেনা শহরে অভিবাসন আদালতের বিচারক জ্যামি কোমান্স মঙ্গলবার শুনানিতে এই নির্দেশ দেন।
মাহমুদ খলিল নামের ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন এবং ইসরায়েল বিরোধী মন্তব্য করেছেন।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সরকারের কাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রমাণ জমা দিতে হবে, যা প্রমাণ করবে কেন খলিলকে বিতাড়িত করা হবে। যদি সরকার বিতাড়নের স্বপক্ষে প্রমাণ জমা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে শুক্রবারের মধ্যে বিচারক মামলাটি খারিজ করে দেবেন।
জানা গেছে, ৩০ বছর বয়সী মাহমুদ খলিল একজন ‘লিগ্যাল পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট’। অর্থাৎ তিনি যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস ও কাজ করার অনুমতিপ্রাপ্ত।
গত ৮ মার্চ ফেডারেল অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে তিনি লুইজিয়ানার একটি ডিটেনশন সেন্টারে আটক রয়েছেন।
তার আটকের ঘটনা মুক্তভাবে কথা বলার অধিকারের পক্ষের কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলের সমালোচনা বন্ধ করার জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মীদের সন্ত্রাসী সমর্থক হিসেবে চিহ্নিত করতে চাইছে।
আদালতে খলিলের আইনজীবী মার্ক ভ্যান ডার হাউট জানান, তিনি এ মামলার বিষয়ে কোনো নথি পাননি। তিনি বলেন, “আমরা নির্দিষ্ট অভিযোগগুলো না জানা পর্যন্ত কোনো জবাব দিতে পারছি না।”
খলিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে তিনি হামাসের সঙ্গে জড়িত। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি।
খলিল অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, গাজায় ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে কথা বলার কারণেই তাকে আটক করা হয়েছে।
আদালতে শুনানির সময় খলিল তার স্ত্রীর ভার্চুয়ালি যুক্ত হওয়ার অনুমতি চান এবং বিচারক তাতে সম্মতি দেন। বিচারক জানান, শুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য ৬০০ জনের বেশি মানুষ ভার্চুয়াল ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করছিলেন, যা খুবই অস্বাভাবিক।
এদিকে, খলিলের আইনজীবী তার মুক্তি এবং সম্ভাব্য বিতাড়ন চ্যালেঞ্জ করে নিউ জার্সির একটি ফেডারেল আদালতে আবেদন করেছেন। সেই আদালত এখনো এ বিষয়ে কোনো রায় দেয়নি।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস