জার্মানিতে সরকার গঠনের লক্ষ্যে দেশটির দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল, ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ জার্মানির (এসপিডি), একটি জোট গঠনে রাজি হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ফেডারেল নির্বাচনে সিডিইউ জয়লাভ করার পর কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
বুধবার বিকেলে বার্লিনে সিডিইউ এবং এসপিডির শীর্ষস্থানীয় নেতারা এই চুক্তির বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলে জানা গেছে।
জার্মানির রাজনৈতিক অঙ্গনে, সিডিইউ একটি প্রভাবশালী রক্ষণশীল দল, যা সাধারণত দেশের কেন্দ্র-ডানপন্থী ভোটারদের সমর্থন করে। অন্যদিকে, এসপিডি একটি মধ্য-বামপন্থী দল, যা শ্রমিক শ্রেণির অধিকার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে কথা বলে।
এই দুটি দলের মধ্যে জোট গঠন জার্মানির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারায়, সরকার গঠনের জন্য দলগুলোকে জোটের দিকে ঝুঁকতে হয়। এক্ষেত্রে, দুই দলের মধ্যে সমঝোতা এবং নীতিগত ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা অপরিহার্য।
জোট সরকারে বিভিন্ন দলের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগি হয়, যা একটি স্থিতিশীল সরকার পরিচালনায় সহায়ক হতে পারে।
জার্মানিতে এই জোট সরকার গঠিত হলে, তা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও কিছু প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর নীতি এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে জার্মানির অবস্থান পরিবর্তন হতে পারে।
এছাড়াও, উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতি জার্মানির বৈদেশিক নীতিতেও কিছু পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাণিজ্য, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা রয়েছে।
জার্মানিতে নতুন সরকার গঠিত হলে, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন