ইংল্যান্ড দল: অপ্রত্যাশিত হারে প্রশ্ন, নতুন তারকার আগমন!

শিরোনাম: ইংল্যান্ড নারী ফুটবল দলের দুর্বলতা ও সম্ভাবনা: আসন্ন ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের আগে পর্যালোচনা

বিশ্বজুড়ে নারী ফুটবল ক্রমশ জনপ্রিয়তা লাভ করছে, এবং এর অন্যতম উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো ইংল্যান্ডের নারী ফুটবল দল, যাদের ডাকনাম ‘দ্য লায়নেস’। আসন্ন ২০২৫ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের আগে, তাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে চলছে জোর আলোচনা।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দুটি ম্যাচে তাদের খেলার ধরনে যেমন উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা গেছে, তেমনই কিছু দুর্বলতাও চোখে পড়েছে। এই দুটি ম্যাচের ফল তাদের শক্তি এবং দুর্বলতার একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরেছে।

ইংল্যান্ড দল সম্প্রতি বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে দুটি ম্যাচ খেলেছে।

প্রথম ম্যাচে তারা ৫-০ গোলে বিশাল জয়লাভ করে, যেখানে তাদের খেলা ছিল অসাধারণ। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে, বেলজিয়ামের কাছে ৩-২ গোলে হারতে হয় তাদের।

এই দুটি ম্যাচের ফলাফল বিশ্লেষণ করে, কোচিং স্টাফ এবং বিশেষজ্ঞরা দলের খেলার বিভিন্ন দিক নিয়ে নতুন করে পর্যালোচনা করছেন।

গোলরক্ষক নির্বাচন নিয়েও চলছে আলোচনা। ইংল্যান্ডের কোচ সারিনা উইগম্যান সম্ভবত হানা হ্যাম্পটনকে এক নম্বর গোলরক্ষক হিসেবে বেছে নিতে চলেছেন।

হ্যাম্পটনকে টানা তিনটি ম্যাচে খেলানোর সিদ্ধান্ত এই ইঙ্গিতই দেয়।

যদিও বেলজিয়ামের বিপক্ষে ম্যাচে হ্যাম্পটনের পারফরম্যান্স তেমন উজ্জ্বল ছিল না, তবে তার উপর এখনো আস্থা রাখছেন কোচ।

দলের আক্রমণভাগে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হলেন অ্যালেসিয়া রুসো এবং লরেন জেমস।

এই দুই খেলোয়াড়ের ইনজুরির কারণে বেলজিয়ামের বিপক্ষে ম্যাচে ইংল্যান্ডের খেলায় কিছুটা দুর্বলতা দেখা যায়।

রুসোর অনুপস্থিতিতে আক্রমণভাগে বল ধরে রাখার সমস্যা ছিল, এবং জেমসের অভাব অনুভূত হয়েছে আক্রমণ গড়ার ক্ষেত্রেও।

ইংল্যান্ডের রক্ষণভাগে গতি কিছুটা উদ্বেগের কারণ।

বেলজিয়ামের বিপক্ষে ম্যাচে, বিশেষ করে প্রতি-আক্রমণে তাদের রক্ষণ দুর্বল ছিল।

টেসা উইলার্টের গতি তাদের রক্ষণকে বেশ ভুগিয়েছে।

খেলার ধরনে পরিবর্তন আনতে গিয়ে প্রথমার্ধের শেষে কোচ নিয়াম চার্লস এবং মিলি ব্রাইটকে তুলে নিয়ে জেস কার্টার ও এসমে মরগানকে মাঠে নামান।

অন্যদিকে, দলের জন্য একটি উজ্জ্বল দিক হলো মিশেল অ্যাজিয়েমাং-এর অভিষেক।

বেলজিয়ামের বিপক্ষে ম্যাচে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে তিনি তার দ্বিতীয় স্পর্শেই গোল করেন।

১৯ বছর বয়সী এই তরুণীর পারফরম্যান্স দেখে কোচ মুগ্ধ।

তবে এখনই তাকে দলের নিয়মিত খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচনা করা হবে কিনা, তা সময় বলবে।

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের আগে, ইংল্যান্ড দলের খেলোয়াড়দের ফিটনেস এবং ফর্ম ধরে রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

দলের দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে, তারা অবশ্যই ভালো ফল করতে পারবে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *