আতঙ্ক! বিতাড়ন প্রক্রিয়াকে ‘অ্যামাজন প্রাইম’-এর মতো করতে চান ICE প্রধান

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) বিভাগের প্রধান টড লিয়ন্স বলেছেন, অভিবাসীদের বিতাড়ন প্রক্রিয়াকে ‘অ্যামাজন প্রাইম’-এর মতো করতে চান তিনি। এর মাধ্যমে দ্রুত এবং সহজে মানুষকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যাবে।

সম্প্রতি দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এমনটা জানান।

যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ক এক সম্মেলনে (২০২৫ বর্ডার সিকিউরিটি এক্সপো) লিয়ন্স এই মন্তব্য করেন। সম্মেলনে সাবেক ‘বর্ডার জার’ টম হোমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি ক্রিস্টি নয়েমও উপস্থিত ছিলেন।

লিয়ন্স মনে করেন, বিতাড়ন প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করতে প্রযুক্তি ব্যবহার করা উচিত। তিনি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহারের মাধ্যমে ‘বেড স্পেস’ খালি করা এবং দ্রুত উড়োজাহাজ ভর্তি করার কথা বলেন, যাতে দ্রুত অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো যায়।

এছাড়া, তিনি সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর ব্যবহার করে ভোটার জালিয়াতি শনাক্ত করতে ইলোন মাস্কের ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ (Doge)-এর সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

সম্মেলনে বক্তারা ট্রাম্প প্রশাসনের গণহারে বিতাড়নের পরিকল্পনার ওপর জোর দেন। তারা মনে করেন, এই কাজ সম্পন্ন করতে বেসরকারি খাতের সহায়তা নেওয়া হবে। সম্মেলনে সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্সের অনেক প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক ‘বর্ডার জার’ টম হোমান বলেন, “আইনের কাজটি আইন করুক, আর বাকি সবকিছু আমরা কন্ট্রাক্ট আউট করব।

ট্রাম্প প্রশাসনের গণহারে বিতাড়নের সিদ্ধান্তের পর অভিবাসী এবং যুক্তরাষ্ট্রে আসা বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ ও ভীতি তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিমান ভ্রমণের বুকিং ৭০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।

আবাসন ও বিতাড়ন বিষয়ক এই পরিকল্পনা নিয়ে ইতোমধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি মানবাধিকারের লঙ্ঘন।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *