ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, এক তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তিনি ‘reciprocal’ শুল্কের ওপর ৯০ দিনের জন্য বিরতি ঘোষণা করেছেন।
তবে এই সিদ্ধান্তের বাইরে রাখা হয়েছে চীনকে। এই ঘোষণাটি এসেছে ট্রাম্পের নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এর মাধ্যমে।
এই ‘reciprocal’ শুল্ক আসলে কী? সহজ ভাষায় বলতে গেলে, এটি হলো এক ধরনের বাণিজ্য যুদ্ধ।
কোনো দেশ যখন অন্য একটি দেশের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে, তখন পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে অন্য দেশও একই কাজ করে। অর্থাৎ, আমদানি করা পণ্যের ওপর কর বসানো হয়।
ট্রাম্পের এই ঘোষণার ফলে, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এই ধরনের শুল্ক আরোপের প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে, চীন বাদে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে।
এর মধ্যে অন্যতম হলো, বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা অথবা অভ্যন্তরীণ কোনো কৌশলগত পরিবর্তন।
চীনের ক্ষেত্রে এই শুল্ক স্থগিত না করার কারণ হিসেবে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য বিরোধ এখনো সম্পূর্ণভাবে মেটানো যায়নি।
তাই, বাণিজ্য ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আগের মতোই বহাল থাকছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতিতে কেমন প্রভাব পড়বে, তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
তবে আন্তর্জাতিক বাজারে এর কিছু প্রভাব অবশ্যই পড়বে।
উন্নত দেশগুলোর এই ধরনের নীতি বিশ্ব অর্থনীতিকে নানাভাবে প্রভাবিত করে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এই সিদ্ধান্তের ফলস্বরূপ বিশ্ব বাণিজ্য এবং বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিতে এর প্রভাব কেমন হবে, তা এখন দেখার বিষয়।
তথ্য সূত্র: CNN