শ্রমিক বোর্ড বিতর্কে ট্রাম্পের নতুন চাঞ্চল্যকর পদক্ষেপ!

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দেশটির দুটি স্বাধীন ফেডারেল শ্রম বোর্ডের সদস্যদের বরখাস্ত করার জন্য দেশটির সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। বুধবার (অতীতে) জরুরি ভিত্তিতে এই আবেদন জানানো হয়।

ট্রাম্পের যুক্তি হলো, তিনি এই বোর্ড কর্মকর্তাদের অপসারণ করতে পারেন, যদিও কংগ্রেসের নিয়ম অনুযায়ী, তাদের কেবল অযোগ্যতা বা দুর্নীতির মতো ‘যুক্তিসঙ্গত কারণে’ বরখাস্ত করা যেতে পারে।

আবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসন চাচ্ছিলো ন্যাশনাল লেবার রিলেশনস বোর্ড (এনএলআরবি) এবং মেরিট সিস্টেমস প্রোটেকশন বোর্ডের (এমএসপিবি) কর্মকর্তাদের সরিয়ে দিতে। তাদের মতে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের নীতিমালার সঙ্গে যারা একমত নন, এমন কর্মকর্তাদের পদে থাকার কোনো সুযোগ থাকা উচিত নয়।

দেশটির সলিসিটর জেনারেল ডি. জন সয়ার সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা আবেদনে এই কথা উল্লেখ করেন।

তবে, এর আগে ওয়াশিংটন ডিসির একটি আপিল আদালত এই কর্মকর্তাদের স্বপদে পুনর্বহাল করে। আপিল আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হয়েছে।

আপিল আদালত প্রথমে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষেই রায় দিয়েছিল, কিন্তু পরে সাত-চার ভোটে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে বোর্ডের সদস্যদের স্বপদে ফিরিয়ে আনা হয়।

এই বিতর্কের মূল বিষয় হলো, নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তাদের ওপর প্রেসিডেন্টের কতটুকু ক্ষমতা থাকবে, সেই বিষয়ে কংগ্রেসের ক্ষমতা কতখানি। এই ধরনের স্বাধীন সংস্থাগুলোর ওপর প্রেসিডেন্টের নিয়ন্ত্রণ প্রসারিত করার দিকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটির রক্ষণশীল সুপ্রিম কোর্টের ঝোঁক দেখা যাচ্ছে।

আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে এনএলআরবি এবং এমএসপিবি-তে কোরাম ফিরে আসে, যা সংস্থাগুলোকে তাদের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করবে।

এই দুটি সংস্থাই মূলত ফেডারেল কর্মচারী বিষয়ক বিরোধ নিষ্পত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এমন পরিস্থিতিতে, ট্রাম্প প্রশাসনের ফেডারেল কর্মীবাহিনী কমানো এবং হাজার হাজার কর্মীকে বরখাস্ত করার প্রচেষ্টায় এটি একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আপিল আদালতের যে সাতজন বিচারক শ্রম কর্মকর্তাদের স্বপদে বহাল রাখার পক্ষে রায় দিয়েছিলেন, তাদের সবাই ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট কর্তৃক নিযুক্ত হয়েছিলেন। অন্যদিকে, যারা ভিন্নমত পোষণ করেছেন, সেই চার বিচারক রিপাবলিকানদের দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *