ম্যাকলয়ের অগাষ্টা জয়: মানসিক পরীক্ষায় কতটা সফল?

অগাষ্টা ন্যাশনাল: মানসিক দৃঢ়তার পরীক্ষায় ম্যাকিলরয়, প্রতিপক্ষ স্কটি শেফলার।

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ গলফ টুর্নামেন্ট, মাস্টার্স-এর দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। যেখানে প্রতি বছর সেরা গলফাররা তাদের দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য একত্রিত হন।

এই বছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। সবার চোখ এখন ররি ম্যাকিলরয়ের দিকে, যিনি তার ক্যারিয়ার গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার লক্ষ্যে অবিচল। তবে তার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন স্কটি শেফলার।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার অগাষ্টা ন্যাশনাল গলফ ক্লাবে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই প্রতিযোগিতায় মানসিক দৃঢ়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে যেমন রয়েছে মাঠের চ্যালেঞ্জ, তেমনই চাপ থাকবে মানসিকতার ওপরও।

অনেকের মতে, ম্যাকিলরয়ের জন্য এই মাস্টার্স সম্ভবত শেষ সুযোগ। ৩৫ বছর বয়সী এই গলফার এর আগে বেশ কয়েকবার এই টুর্নামেন্টে ভালো পারফর্ম করেছেন, তবে শিরোপা জেতা হয়নি। ২০১১ সালের মাস্টার্সে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর তিনি যেন আরও মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

অন্যদিকে, বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানীয় স্কটি শেফলার রয়েছেন দারুণ ফর্মে। তার আয়রন প্লে-এর দক্ষতা গলফ ইতিহাসে অন্যতম সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়। যদিও মাস্টার্স জেতা সহজ নয়, কারণ এখানে টিকে থাকতে হলে মানসিক দিক থেকেও শক্তিশালী হতে হয়।

ম্যাকিলরয়য়ের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সম্ভবত মানসিক চাপ মোকাবেলা করা। কারণ, অগাষ্টা ন্যাশনাল-এর মাঠ এতটাই কঠিন যে সামান্য ভুলেরও সুযোগ নেই। তার উপর, প্রথম রাউন্ডে ভালো স্কোর করতে না পারলে পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।

অন্যান্য প্রতিযোগীদের মধ্যে শেন লরি, রবার্ট ম্যাকইনটায়ার এবং লুডভিগ Åবার্গ-এর দিকেও সবার নজর থাকবে। তবে, শেষ পর্যন্ত কে হাসবেন বিজয়ের হাসি, তা সময়ই বলবে।

মাস্টার্স টুর্নামেন্টের ইতিহাসে দেখা গেছে, গত ২০ বছরে চ্যাম্পিয়নরা গড়ে নবমবারের মতো এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন। এবারও জোন রাম, টমি ফ্লিটউড এবং ব্রাইসন ডিচাম্বোর মতো অভিজ্ঞ গলফাররা রয়েছেন।

প্রতিযোগিতার আগে বিভিন্ন ঘটনাও আলোচনায় এসেছে। যেমন, টুর্নামেন্টের আয়োজক ফ্রেড রিডলি টাইগার উডসকে নিয়ে একটি বিশেষ ঘোষণার কথা জানান, তবে উডস নিজে সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

সবমিলিয়ে, একটি আকর্ষণীয় মাস্টার্স টুর্নামেন্টের অপেক্ষায় বিশ্ব। যেখানে একদিকে যেমন থাকবে খেলোয়াড়দের দক্ষতা, তেমনই থাকবে মানসিক দৃঢ়তার পরীক্ষা।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *