প্রকাশ: গে পর্যটকদের জন্য নিরাপদ শহরগুলো!

ভ্রমণ বিষয়ক একটি নতুন প্রতিবেদনে এলজিবিটিকিউ+ (LGBTQ+) সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য নিরাপদ শহরগুলোর তালিকা। মানুষের ভ্রমণের সময় নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এবং বিভিন্ন সংস্থা এখন এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত ‘মিসটারবিএন্ডবি’ (Misterb&b) -এর ‘কুইয়ার সেফটি ইনডেক্স’ (Queer Safety Index) তেমনই একটি উদ্যোগ। এই সূচকটি বিভিন্ন শহরের আইনগত ঝুঁকি, স্থানীয় অধিকার সুরক্ষা এবং ঘৃণামূলক অপরাধের রিপোর্টের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।

এই সূচকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ হিসেবে উঠে এসেছে শিকাগোর নাম। শিকাগো শহরে নর্থালস্টেড, অ্যান্ডারসনভিল এবং আপটাউনের মতো এলজিবিটিকিউ+ বান্ধব এলাকা রয়েছে।

শিকাগো ট্যুরিজম বোর্ড ‘চুজ শিকাগো’ (Choose Chicago)-এর তথ্য অনুযায়ী, এই শহরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সরকারি গে (gay) এলাকাও অবস্থিত।

তালিকার শীর্ষ পাঁচ-এ শিকাগোর পরেই রয়েছে সিয়াটল, সান ফ্রান্সিসকো, পোর্টল্যান্ড এবং সান দিয়েগো। এছাড়াও, হনুলুলু, ডেনভার, আলবুকের্কি, লাস ভেগাস এবং পাম স্প্রিংসের মতো শহরগুলোও এলজিবিটিকিউ+ ভ্রমণকারীদের জন্য নিরাপদ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

এই তালিকাটি তৈরি করতে ‘মিসটারবিএন্ডবি’-এর ডেটা বিজ্ঞানীরা শহরগুলোতে এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায়ের মানুষের ভ্রমণ এবং নিরাপত্তার বিষয়গুলো বিবেচনা করেছেন।

আন্তর্জাতিক গন্তব্যগুলোর মধ্যে, এলজিবিটিকিউ+ ভ্রমণকারীদের জন্য নিরাপদ দেশ হিসেবে প্রথম স্থানে রয়েছে পাঁচটি দেশ – কানাডা, মাল্টা, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল এবং স্পেন।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলোর মধ্যে নিউ ইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়া এবং কলোরাডো এই তালিকায় শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে।

ভ্রমণ বিষয়ক নিরাপত্তা নির্দেশিকাগুলো ভ্রমণকারীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের গাইডগুলোতে জনসাধারণের জন্য উপলব্ধ তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপদ গন্তব্য সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়, যা ভ্রমণকারীদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।

উদাহরণস্বরূপ, বার্কশায়ার হ্যাথওয়ে ট্র্যাভেল প্রোটেকশন (Berkshire Hathaway Travel Protection) সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য নিরাপদ গন্তব্য হিসেবে আইসল্যান্ডকে চিহ্নিত করেছে। এই তালিকায় অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আয়ারল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ডও উপরের দিকে রয়েছে।

এই প্রতিবেদনে অপরাধের হার, জনসমাগম এবং শান্তি ও নিরাপত্তার সূচক বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

ভ্রমণের সময় নিরাপত্তা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিভিন্ন সংস্থা এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এবং ভ্রমণকারীদের জন্য নিরাপদ স্থান চিহ্নিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।

এলজিবিটিকিউ+ (LGBTQ+) হলো এমন একটি সম্প্রদায় যেখানে লেসবিয়ান, গে, উভকামী, ট্রান্সজেন্ডার এবং কুইয়ার/প্রশ্নকারী (lesbian, gay, bisexual, transgender, and queer/questioning) সহ আরও অনেক পরিচয় অন্তর্ভুক্ত।

এই সম্প্রদায়ের মানুষের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে এবং তাঁদের অধিকার সুরক্ষায় বিশ্বজুড়ে আরও অনেক কাজ করা হচ্ছে।

তথ্য সূত্র: ট্রাভেল এন্ড লেজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *