অবিশ্বাস্য! অপরিচিতের সন্তান জন্ম দিলেন নারী: আইভিএফ বিভ্রাট!

অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে অবস্থিত একটি ফার্টিলিটি ক্লিনিকে (বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণের কেন্দ্র) গুরুতর ত্রুটির কারণে এক নারীর গর্ভে অন্য দম্পতির ভ্রূণ প্রতিস্থাপিত হয়। এর ফলস্বরূপ, ওই নারী অন্য এক দম্পতির সন্তানের জন্ম দেন।

সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, মন্যাশ আইভিএফ নামক একটি ফার্টিলিটি ক্লিনিকের কর্মীরা ভ্রূণ প্রতিস্থাপনে ভুল করেন। এর ফলে অপ্রত্যাশিত এই ঘটনাটি ঘটে।

গত ফেব্রুয়ারিতে যখন জন্মদাতা-মাতাপিতা তাঁদের অবশিষ্ট ভ্রূণ অন্য একটি ক্লিনিকে সরানোর জন্য অনুরোধ করেন, তখনই এই ভুলের বিষয়টি নজরে আসে।

মন্যাশ আইভিএফ এক বিবৃতিতে জানায়, ভ্রূণ সংরক্ষণাগারে অতিরিক্ত একটি ভ্রূণ পাওয়া গিয়েছিল। তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে, অন্য এক রোগীর ভ্রূণ ভুল করে গলানো (thawing) হয় এবং ওই নারীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।

সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (chief executive), মাইকেল ন্যাপ, এই ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা এই ঘটনায় অত্যন্ত দুঃখিত এবং এর সঙ্গে জড়িত সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি।

আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।” ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেজন্য অতিরিক্ত নিরীক্ষণ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

এই ঘটনার তদন্তের জন্য ভিক্টোরিয়ার সিনিয়র কাউন্সেল ফিয়োনা ম্যাকলয়েডের সাহায্য চেয়েছে মন্যাশ আইভিএফ। সেইসঙ্গে, তদন্তে উঠে আসা সুপারিশগুলো তারা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করবে বলেও জানিয়েছে।

এছাড়াও, কুইন্সল্যান্ডের প্রজনন প্রযুক্তি অ্যাক্রিডিটেশন কমিটি এবং সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে (Reproductive Technology Accreditation Committee) বিষয়টি জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে মন্যাশ আইভিএফ-এর বিরুদ্ধে ভ্রূণ নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছিল।

ত্রুটিপূর্ণ জেনেটিক পরীক্ষার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া রোগীদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ কোটি ৬০ লক্ষ অস্ট্রেলীয় ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা) দিতে রাজি হয় তারা।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *