ব্রিটিশ ব্যান্ড “পাপ” (Pulp), নব্বই দশকের ব্রিটিশ সঙ্গীতের এক প্রভাবশালী দল, তাদের নতুন অ্যালবাম “মোর” (More) নিয়ে আবার ফিরে আসছে। ২০০১ সালের অ্যালবাম “উই লাভ লাইফ”-এর (We Love Life) পর এটি তাদের প্রথম স্টুডিও অ্যালবাম।
নতুন এই অ্যালবামটি প্রকাশের ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যান্ডটির ভক্তদের মধ্যে আনন্দের ঢেউ লেগেছে।
“মোর” অ্যালবামটি ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া পাপ-এর পুনর্মিলন কনসার্ট থেকে অনুপ্রাণিত। এই অ্যালবামের প্রথম গান “স্পাইক আইল্যান্ড” (Spike Island) এরই মধ্যে মুক্তি পেয়েছে।
গানটি তৈরি হয়েছে একটি বিখ্যাত কনসার্ট ভেন্যুকে কেন্দ্র করে, যেখানে ১৯৯০ সালে স্টোন রোজেস (Stone Roses) তাদের কনসার্ট করেছিল। “স্পাইক আইল্যান্ড” গানের ভিডিওর জন্য জনপ্রিয় শিল্পী জার্ভিস ককার (Jarvis Cocker) এআই (AI) প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন, যা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
পাপ-এর প্রধান শিল্পী জার্ভিস ককার জানান, নতুন এই অ্যালবামের কাজ অনেক আগেই শুরু হয়েছিল। তিনি বলেন, “২০২৩ সালের পুনর্মিলন কনসার্ট আমাদের জন্য একটি বড় অনুপ্রেরণা ছিল। কনসার্টের পর যেন গানগুলো নতুন জীবন ফিরে পায়।”
এই অ্যালবামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো প্রয়াত বেসিস্ট স্টিভ ম্যাকেকে (Steve Mackey) উৎসর্গ করা হয়েছে অ্যালবামটি। গত বছর মার্চ মাসে ৫৬ বছর বয়সে ম্যাকে মারা যান, যা ব্যান্ডের জন্য একটি গভীর শোকের বিষয় ছিল।
“মোর” অ্যালবামটি তৈরি করেছেন বিখ্যাত প্রযোজক জেমস ফোর্ড (James Ford), যিনি এর আগে আর্টিক মাংকিজ (Arctic Monkeys), ওয়েট লেগ (Wet Leg)-এর মতো জনপ্রিয় শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করেছেন। অ্যালবামটি মাত্র তিন সপ্তাহে লন্ডনের একটি স্টুডিওতে রেকর্ড করা হয়েছে।
পাপ-এর যাত্রা ১৯৭০-এর দশকে শুরু হয়েছিল। এরপর বিভিন্ন পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে তারা আজকের অবস্থানে এসেছে। তাদের “ডিফারেন্ট ক্লাস” (Different Class) অ্যালবামটি (১৯৯৫) ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে, যা তাদের খ্যাতি আরও বাড়িয়ে তোলে।
পাপ শুধু অ্যালবাম প্রকাশ করেই থেমে নেই, বরং তারা যুক্তরাজ্য, ইউরোপ এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের হলিউড বাউলে কনসার্ট করারও পরিকল্পনা করছেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে।