আমাজন-এর পণ্যের দামে ঊর্ধ্বগতি, বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে বাড়ছে খরচ?
বিশ্বজুড়ে চলা বাণিজ্য যুদ্ধের জেরে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আমাজন-এর পণ্যের দামে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন এই বহুজাতিক সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অ্যান্ডি জ্যাসি।
বিভিন্ন দেশের মধ্যে শুল্কের (ট্যারিফ) কারণে এই মূল্যবৃদ্ধি হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, আমাজনের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করেন এমন তৃতীয় পক্ষের বিক্রেতারাও এই অতিরিক্ত খরচ ক্রেতাদের উপর চাপাতে পারেন। এর কারণ হিসেবে অ্যান্ডি জ্যাসি উল্লেখ করেন, বিক্রেতাদের পক্ষে অতিরিক্ত মুনাফা করার সুযোগ খুবই সীমিত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুদিনের জন্য শুল্কের বিষয়ে একটি সাময়িক বিরতি দিলেও, চীন-আমেরিকা বাণিজ্য যুদ্ধ এখনো অব্যাহত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চীনের থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর শুল্কের হার ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় চীনও যুক্তরাষ্ট্রের থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে, যা প্রায় ৮৪ শতাংশ।
তবে, আমাজন চেষ্টা করছে, যাতে পণ্যের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখা যায়। এজন্য তারা কৌশলগতভাবে পণ্য মজুত করছে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে দাম কমানোর চেষ্টা করছে।
যদিও এখনো পর্যন্ত গ্রাহকদের আচরণে খুব বেশি পরিবর্তন দেখা যায়নি, তবে অনেকে আগে থেকেই পণ্য কিনে রাখছেন। বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকায় গ্রাহকরা এখন সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
আমাজনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ালমার্টও শুল্কের প্রভাব নিয়ে তাদের আর্থিক পূর্বাভাস পুনর্বিবেচনা করেছে। ওয়ালমার্ট জানিয়েছে, এই পরিস্থিতির কারণে তাদের ব্যবসার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
এই পরিস্থিতিতে আমাজনের শেয়ারের দামেও পতন দেখা গেছে।
তথ্য সূত্র: CNN