যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ ট্রাম্পের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করলো, যা কর হ্রাস এবং সীমান্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতি বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ কিছু নীতি বাস্তবায়নের পথে আরও একধাপ এগোনো হলো।
বৃহস্পতিবার এই বাজেট প্রস্তাবের পক্ষে ভোট হয়, যা মূলত সিনেটের বাজেট ব্লু-প্রিন্টের অনুসরণ।
**বাজেট নিয়ে বিতর্কের অবসান**
বাজেট প্রস্তাব নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয় যখন রিপাবলিকান দলের কতিপয় সদস্য বাজেট কাটছাঁট নিয়ে তাদের আপত্তির কথা জানান। তাদের দাবি ছিল, প্রস্তাবিত বাজেটে আরও বেশি পরিমাণে সরকারি ব্যয় হ্রাস করতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হওয়ার উপক্রম হয়। তবে, শেষ পর্যন্ত রিপাবলিকান দলের নেতাদের আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসা হয় এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট সংগ্রহ করা সম্ভব হয়।
হাউস স্পিকার মাইক জনসন এই বিতর্কের অবসানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন লাভ করেন, যিনি বিরোধীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং তাদের বোঝাতে সক্ষম হন।
এমনকি, ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশাল’-এ একটি বিবৃতি পোস্ট করে এই বিলের প্রতি সমর্থন জানান। রিপাবলিকান দলের এক সদস্য, র্যালফ নরম্যান জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার পরেই তিনি বিলের পক্ষে ভোট দিতে রাজি হন।
**অর্থ সাশ্রয়ের পরিকল্পনা**
বাজেট প্রস্তাবে অন্তত ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার সাশ্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ হিসাব করলে, সেই অঙ্কটা দাঁড়ায় প্রায় ১ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকার বেশি (ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪ তারিখে প্রতি ডলারের বিনিময় হার অনুযায়ী)।
এই অর্থ সাশ্রয়ের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কার্যক্রমগুলোও বহাল রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। সিনেট মেজরিটি লিডার জন থুন জানিয়েছেন, সিনেটও এই বাজেট প্রস্তাবের সঙ্গে একমত এবং সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে তারা প্রতিনিধি পরিষদের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে।
**ভবিষ্যতের সম্ভাবনা**
এই বাজেট প্রস্তাবের অনুমোদন ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে কর হ্রাস এবং সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ক নীতিগুলো বাস্তবায়নের পথ সুগম হবে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে বিশ্লেষকরা বিভিন্ন মতামত দিচ্ছেন। তবে, এর সরাসরি প্রভাব সম্পর্কে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
তথ্য সূত্র: সিএনএন