ম্যান ইউ: র‍্যাটক্লিফের সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত কানটোনা, বোমা ফাটালেন কিং!

**ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড: ক্লাবের ভবিষ্যৎ নিয়ে এরিক ক্যান্টোনার উদ্বেগ**

বিশ্বখ্যাত ফুটবল ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের (Manchester United) বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন ক্লাবটির প্রাক্তন কিংবদন্তি খেলোয়াড় এরিক ক্যান্টোনা।

ক্লাবটির নতুন সহ-মালিক জিম র‍্যাটক্লিফের (Jim Ratcliffe) নেওয়া কিছু সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি।

ক্যান্টোনার মতে, র‍্যাটক্লিফের নেতৃত্বাধীন ম্যানেজমেন্ট দল ধীরে ধীরে ক্লাবের ঐতিহ্য এবং সম্মান নষ্ট করছে।

ফেব্রুয়ারি মাস থেকে র‍্যাটক্লিফ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফুটবল কার্যক্রমের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন।

এরপর থেকেই ক্লাবটিতে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে, যা ক্যান্টোনার দৃষ্টিতে ইতিবাচক নয়।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, কোচ এরিক টেন হ্যাগকে (Erik ten Hag) সরিয়ে রুবেন অ্যামোরিমকে (Ruben Amorim) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তবে, মাঠের খেলায় খুব একটা উন্নতি হয়নি, বর্তমানে প্রিমিয়ার লিগে (Premier League) দলটি ১৩তম স্থানে অবস্থান করছে।

এছাড়া, টিকিটের দাম বৃদ্ধি এবং কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো সিদ্ধান্তও নিয়েছেন র‍্যাটক্লিফ, যার ফলস্বরূপ প্রায় 450 জন কর্মী চাকরি হারিয়েছেন।

একই সাথে, ক্লাবের জন্য এক লক্ষ দর্শক ধারণক্ষমতার নতুন স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনাও চলছে।

ক্যান্টোনা মনে করেন, র‍্যাটক্লিফের এই পরিবর্তনগুলো ক্লাবের ‘আত্মা’র ওপর আঘাত হানছে।

তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন, ঐতিহ্যবাহী ওল্ড ট্র্যাফোর্ড স্টেডিয়ামটি (Old Trafford) পরিবর্তনের পরিকল্পনার কথা।

ক্যান্টোনার মতে, আর্সেনাল (Arsenal) যখন তাদের পুরনো মাঠ হাইbury (Highbury) ছেড়েছিল, তখন তারা তাদের ‘আত্মা’ হারিয়েছিল।

ফরাসি এই কিংবদন্তি খেলোয়াড় এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি ক্লাবটিকে পুনর্গঠনে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর সেই প্রস্তাবকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

ক্যান্টোনার মতে, ক্লাব এখন সম্ভবত অন্য কোনো কৌশল (strategy) অনুসরণ করছে, যা তাঁর ভালো লাগছে না।

তিনি বলেন, যদি একজন ভক্ত হিসেবে তাঁকে কোনো ক্লাব বেছে নিতে হতো, তাহলে তিনি সম্ভবত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে বেছে নিতেন না।

কারণ, বর্তমান সিদ্ধান্তের সঙ্গে তিনি একমত নন।

উল্লেখ্য, এরিক ক্যান্টোনা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে পাঁচ বছর খেলেছেন এবং এই সময়ে চারটি প্রিমিয়ার লিগ ও দুটি এফএ কাপ (FA Cup) জিতেছেন।

তাঁর সময়ে ক্লাবটি দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ১৯৯৩ সালে ইংলিশ খেতাব জয় করে।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *