মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে চীনের অবস্থান তুলে ধরেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শুক্রবার বেইজিংয়ে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, চীন এই পরিস্থিতিতে ভীত নয়।
খবরটি প্রকাশ করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সি সি টি ভি।
বৈঠকে শি জিনপিংয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, বাণিজ্য যুদ্ধে কারো জয় হয় না। বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে তা আত্ম-প্রতিকূলতার দিকে নিয়ে যায়।
তিনি উল্লেখ করেন, গত ৭০ বছর ধরে চীন আত্মনির্ভরশীলতা ও কঠোর পরিশ্রমের ওপর ভিত্তি করে উন্নতি লাভ করেছে, কারো কাছ থেকে সাহায্য চায়নি। তাই কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না তারা।
চীনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, বাইরের পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, চীন আত্মবিশ্বাসী থাকবে এবং নিজের কাজগুলো মনোযোগের সঙ্গে চালিয়ে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যেকার এই বাণিজ্য যুদ্ধ আন্তর্জাতিক বাজারকে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এর ফলে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দুই দেশের মধ্যে শুল্ক আরোপের পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপের কারণে বাণিজ্য সম্পর্ক চরম আকার ধারণ করেছে, যা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি উদ্বেগের কারণ।
এই বাণিজ্য যুদ্ধের সরাসরি প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও পড়তে পারে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার বাণিজ্য বিরোধের কারণে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বাড়লে, তা বাংলাদেশের আমদানি-ব্যয় বৃদ্ধি করবে।
এছাড়া, বিশ্ব অর্থনীতির এই অস্থিরতা দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বাণিজ্য নীতিতে পরিবর্তন আনা এবং বিশ্ব অর্থনীতির গতিবিধির দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখা জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের উচিত হবে বিকল্প বাজার অনুসন্ধানের পাশাপাশি নিজেদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা।
বর্তমানে, বিশ্ব অর্থনীতি এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। এমন পরিস্থিতিতে, দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে হলে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া এবং আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নিজেদের প্রস্তুত রাখা অপরিহার্য।
তথ্য সূত্র: সিএনএন