বর্তমান ডিজিটাল যুগে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে, সেই সাথে বেড়েছে এর ভালো এবং খারাপ দিক দুটোই। স্মার্টফোন এবং অন্যান্য গ্যাজেটের প্রতি মানুষের আসক্তি অনেক সময় পারিবারিক জীবনে তৈরি করে জটিলতা।
সম্প্রতি, এমন একটি সমস্যার কথা জানা গেছে, যেখানে এক নারী তার স্বামীর অতিরিক্ত আইপ্যাড ব্যবহারের কারণে তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক কমে যাচ্ছে বলে অনুভব করছেন।
তিনি জানিয়েছেন, তাদের একটি ছোট সন্তান রয়েছে এবং তারা দুজনেই সন্তানের দেখাশোনা ভালোভাবে ভাগ করে নেন।
কিন্তু সমস্যা শুরু হয় যখন তিনি কাজ থেকে ফিরে আসেন। স্বামী তখন আইপ্যাড নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, যা তার ভালো লাগে না। তিনি মনে করেন, সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে হয়তো স্বামী ডিভাইস ব্যবহার করেন, কিন্তু এতে তাদের একসঙ্গে কাটানো সময় কমে যায়।
আগে তাদের মধ্যে যে গভীর সম্পর্ক ছিল, সেটি যেন হারিয়ে যাচ্ছে।
ওই নারীর মতে, সন্তানের সামনে বাবা-মায়ের এমন আচরণ তাদের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। তিনি চান, স্বামী যেন কিছুটা সময় তার এবং সন্তানের সঙ্গে কাটান।
তাদের একসঙ্গে একটি সুন্দর পরিবার তৈরি করার স্বপ্ন, যেখানে প্রযুক্তির চেয়ে ভালোবাসার স্থান সবার উপরে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের সমস্যা সমাধানে আলোচনা ও বোঝাপড়া খুবই জরুরি।
প্রথমে, স্বামীর অতিরিক্ত ডিভাইস ব্যবহারের কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। হয়তো তিনি কাজের চাপ বা একাকীত্ব অনুভব করেন।
সেক্ষেত্রে, সমস্যা সমাধানে দুজনকে একসঙ্গে কিছু সময় কাটানো দরকার, যেখানে কোনো প্রযুক্তি থাকবে না।
বিশেষজ্ঞরা আরও পরামর্শ দেন, শুধু “স্ক্রিন-ফ্রি” সময় কাটানোই যথেষ্ট নয়, বরং এই সময়ে দুজনে মিলে কিছু উপভোগ করার মতো কাজ করা উচিত।
যেমন – একসঙ্গে সিনেমা দেখা, খেলাধুলা করা অথবা বাইরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া। এতে সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে এবং ভালোবাসার বন্ধন আরও দৃঢ় হয়।
এছাড়াও, সন্তানের সঙ্গে কাটানো সময়কে আরও উপভোগ্য করে তোলার জন্য কিছু পরিকল্পনা করা যেতে পারে।
সবশেষে, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভালোবাসাপূর্ণ আলোচনা এবং একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
সম্পর্কের উন্নতির জন্য দুজনকে একসঙ্গে চেষ্টা করতে হবে এবং প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
তথ্য সূত্র: The Guardian