স্মার্টফোন যুগে বন্ধুত্ব: টেক্সট বার্তার দ্রুততা নিয়ে দুই বন্ধুর মনোমালিন্য
আধুনিক যুগে, বন্ধুত্বের সংজ্ঞা বদলে গেছে, আর এর প্রধান কারণ হলো স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। মুহূর্তের মধ্যে খবর আদান-প্রদান থেকে শুরু করে ছবি শেয়ার করা—সবকিছুই এখন হাতের মুঠোয়।
তবে, এই ডিজিটাল যুগেও বন্ধুদের মধ্যে যোগাযোগের ধরনে দেখা যায় ভিন্নতা, যা তৈরি করতে পারে ভুল বোঝাবুঝি। এমনই এক ঘটনা নিয়ে আজকের আলোচনা।
প্রিয়া ও ম্যান্ডি, তারা দু’জনই ত্রিশোর্ধ্ব, ভালো বন্ধু। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে তাদের বন্ধুত্ব।
কিন্তু তাদের মধ্যে টেক্সট বার্তার আদান-প্রদান নিয়ে তৈরি হয়েছে এক জটিলতা।
প্রিয়ার অভিযোগ, ম্যান্ডি সামাজিক মাধ্যমে সবসময় সক্রিয় থাকলেও, তাকে টেক্সট করতে অনেক সময় নেন।
প্রিয়ার মনে হয়, তাদের মধ্যে যেন দূরত্ব বাড়ছে। অন্যদিকে, ম্যান্ডির বক্তব্য হলো, তিনি সবসময় ব্যস্ত থাকেন, অনেক সময় টেক্সট দেখতে পেলেও উত্তর দিতে ভুলে যান।
পেশায় স্থপতি ম্যান্ডি আরও জানান, তার মনোযোগের সমস্যাও রয়েছে।
প্রিয়ার ভাষায়, তিনি যখনই কোনো সাধারণ বিষয়ে ম্যান্ডিকে টেক্সট করেন, ম্যান্ডি সেটির উত্তর দিতে অনেক সময় নেন।
কখনো কখনো তিনি দিনের পর দিন উত্তর দেন না।
অথচ, সামাজিক মাধ্যমে তিনি নিয়মিত ছবি পোস্ট করেন এবং অন্যদের পোস্টে মন্তব্য করেন।
প্রিয়ার মনে হয়, তিনি যদি সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় থাকতে পারেন, তাহলে তার টেক্সটের উত্তর দিতে এত দেরি কেন?
অন্যদিকে, ম্যান্ডি জানান, তার অনেক কাজের চাপ থাকে।
এছাড়া, তিনি হয়তো কোনো টেক্সট দেখেন এবং পরে উত্তর দেওয়ার কথা মনে করে তা ভুলে যান।
বিষয়টি তিনি ব্যক্তিগতভাবে নিচ্ছেন না।
তাদের বন্ধুত্বের গভীরতা এত বেশি যে, এই ধরনের ছোটখাটো বিষয় তাদের সম্পর্ককে দুর্বল করতে পারে না।
বিষয়টি নিয়ে পাঠকদের মতামত জানতে চাওয়া হলে অনেকে তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
কেউ বলেন, দ্রুত উত্তর দেওয়াটা বন্ধুত্বের জন্য জরুরি, আবার কারো মতে, বন্ধুত্বের গভীরতা টেক্সটের সংখ্যার উপর নির্ভর করে না।
আপনার কি মনে হয়? বন্ধুদের মধ্যে টেক্সট বার্তার আদান-প্রদান নিয়ে এমন মনোমালিন্য কি খুবই স্বাভাবিক? নাকি এখানে দ্রুত সাড়া দেওয়াটা জরুরি?
আসুন, আমরা সবাই নিজেদের বন্ধুত্বের সম্পর্কের দিকে তাকাই এবং দেখি, ডিজিটাল যুগে আমরা কীভাবে আমাদের সম্পর্কগুলো আরও সুন্দর ও মজবুত করতে পারি।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান