হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা এরিক ডেন জানিয়েছেন তিনি ‘এএলএস’ বা অ্যামিওট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস (Amyotrophic Lateral Sclerosis) নামক এক কঠিন স্নায়ু-রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
সম্প্রতি, পিপল ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই খবর জানানোর পরেই তা বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ‘ইউফোরিয়া’ (Euphoria) খ্যাত এই অভিনেতার শারীরিক অবস্থার কথা শুনে তাঁর অনুরাগী এবং সহকর্মীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এরিক ডেন, যিনি ৫২ বছর বয়সী, তাঁর পরিবার এবং আসন্ন কাজ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেছেন, “আমি আমার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং তাদের সঙ্গেই এই নতুন অধ্যায় শুরু করতে চাই। আমি এখনো কাজ চালিয়ে যেতে পারছি, এটা আমার কাছে অনেক বড় বিষয়। আগামী সপ্তাহে ‘ইউফোরিয়া’র সেটে ফেরার জন্য মুখিয়ে আছি।”
তিনি তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে এই সময়ে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনকে সম্মান জানানোর অনুরোধ করেছেন।
এএলএস, যা প্রায়ই ‘লু গেরিগস ডিজিজ’ নামে পরিচিত, একটি বিরল রোগ যা স্নায়ু কোষগুলির ক্ষতি করে এবং ধীরে ধীরে শরীরের মাংসপেশীকে দুর্বল করে দেয়।
এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ধীরে ধীরে তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাড়াচাড়া করার ক্ষমতা হারান। অনেক সময় কথা বলা, খাবার খাওয়া বা শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়াও কঠিন হয়ে পড়ে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই রোগের কোনো স্থায়ী চিকিৎসা নেই এবং সাধারণত রোগ নির্ণয়ের পর একজন রোগী তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারেন। তবে, কিছু ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি সময় ধরেও চলতে পারে।
এরিক ডেনের স্ত্রী রেবেকা গেইহার্ট এবং তাঁদের দুই সন্তান, ১৫ বছর বয়সী বিলি বিয়াট্রিস ও ১৩ বছর বয়সী জর্জিয়া জেরাল্ডিন।
অভিনেতার পরিবার এই কঠিন সময়ে তাঁর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এরিক ডেন ছাড়াও, এই রোগে আক্রান্ত উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেতা অ্যারন লাজার, জন ড্রিজকেল হপকিন্স, এরিক স্টিভেন্স, জো বনসাল, গায়িকা রবার্টা ফ্ল্যাক, কেনেথ মিচেল এবং বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের মতো ব্যক্তিত্ব।
তাঁদের এই রোগের সঙ্গে লড়াইয়ের গল্প অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
এই খবরটি বিশ্বজুড়ে এএলএস রোগ সম্পর্কে সচেতনতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য আরও বেশি গবেষণা ও সহায়তা প্রয়োজন।
তথ্য সূত্র: পিপল ম্যাগাজিন