কানাডার তরুণ ফুটবলার অলিভিয়া স্মিথ, যিনি বর্তমানে লিভারপুল মহিলা দলের হয়ে খেলেন, তাঁর ফুটবল জীবনের গল্প এখন সকলের মুখে মুখে। সম্প্রতি অ্যানফিল্ডে তিনি দুটি ম্যাচে তিনটি গোল করে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
তাঁর এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে বাবার অক্লান্ত সমর্থন এবং শৈশবের দিনগুলোতে খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা।
মাত্র তিন বছর বয়সে বাবার হাত ধরে খেলাধুলায় আসা অলিভিয়ার। বাবা ছিলেন লিভারপুলের একনিষ্ঠ ভক্ত।
মেয়ের খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ দেখে তিনি সবসময় উৎসাহ জুগিয়েছেন। অলিভিয়া জানান, ছোটবেলায় তিনি ফুটবল এবং তােকোয়ান্দো—দুটোই করতেন।
তবে বাবার অনুপ্রেরণায় ধীরে ধীরে ফুটবলের প্রতি তাঁর ঝোঁক বাড়ে। আত্মরক্ষার কৌশল হিসেবে তােকোয়ান্দো খেলাটা তাঁকে শৃঙ্খলা শিখিয়েছে এবং মাঠের খেলায় শক্তি জুগিয়েছে।
ছোটবেলায় স্কুলের বন্ধুদের দ্বারা ‘নির্যাতিত’ হওয়ার স্মৃতি আজও অলিভিয়ার মনে আছে। তবে খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসাই তাঁকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।
অল্প বয়সেই তিনি কানাডা জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান। ২০১৯ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি দেশের হয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন।
গত বছর, লিভারপুল মহিলা দল প্রায় ২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অলিভিয়াকে দলে ভেড়ায়।
ইংল্যান্ডের পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানকার খেলার গতি অনেক বেশি, যা তাঁর জাতীয় দলের খেলার অভিজ্ঞতার মতোই।
তিনি মনে করেন, এই ধরনের তীব্রতা তাঁর খেলাকে আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে।
ইতিমধ্যে, অলিভিয়া লিভারপুলের হয়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গোল করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে অ্যানফিল্ডে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে করা প্রথম গোলটি। এছাড়া, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এর বিরুদ্ধে জয়লাভের ক্ষেত্রেও তাঁর অবদান ছিল।
এই জয়ের ফলে লিভারপুল মহিলা দল প্রথমবারের মতো অ্যানফিল্ডে সুপার লিগের ম্যাচে জয়লাভ করে।
বর্তমানে লিভারপুল মহিলা দল লিগে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে এবং তারা মহিলা এফএ কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে।
আগামীকালের খেলায় তাদের প্রতিপক্ষ চেলসি। অলিভিয়া জানান, চেলসির খেলোয়াড়দের তিনি ছোটবেলা থেকে অনুসরণ করেন।
তাদের দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে, তবে তাঁরা ভালো খেললে অবশ্যই জিততে পারবেন।
তাঁর স্বপ্ন, ওয়েম্বলিতে খেলা।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান