ডাবল ডাইভারশনে প্লেনের যাত্রীদের ২৪ ঘণ্টা! কী ঘটল?

আকাশপথে ভ্রমণের সময় অপ্রত্যাশিত ঘটনার শিকার হলে, তা যে কতটা দুর্ভোগের কারণ হতে পারে, সম্প্রতি তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে, যা আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর দিয়ে যাচ্ছিল, যাত্রী এবং ক্রু উভয়কেই চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।

কেম্যান আইল্যান্ডস থেকে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা ফ্লাইটটি, মাঝ আকাশে দুটি ভিন্ন কারণে দিক পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়, যার ফলে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ সময় লেগেছে গন্তব্যে পৌঁছাতে।

ফ্লাইট নম্বর BA252, গত ৮ই এপ্রিল জর্জ টাউন, গ্র্যান্ড কেম্যান থেকে যাত্রা শুরু করে।

বাহামাসের রাজধানী নাসাউতে কিছু যাত্রী তোলার পর, ফ্লাইটটি যখন গন্তব্যের দিকে যাচ্ছিল, তখনই বিপত্তি বাধে।

জানা যায়, বিমানের একজন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায় জরুরি অবতরণ করতে হয় কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড ও ল্যাব্রাডরের একটি শহর, গ্যান্ডারে।

সাধারণত, জরুরি পরিস্থিতিতে বিমানগুলোকে কাছাকাছি বিমানবন্দরে অবতরণ করতে হয়।

গ্যান্ডারের এই অবতরণ অনেকের কাছে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

কারণ, ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পর, যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ায় অনেক বিমানকে এখানে জরুরি অবতরণ করতে হয়েছিল। সেই ঘটনার স্মৃতি আজও অনেকে স্মরণ করেন।

তবে, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ফ্লাইটটির দুর্ভোগ এখানেই শেষ হয়নি।

গ্যান্ডারে অবতরণের পর যখন পুনরায় যাত্রা শুরু করা হলো, তখন ক্রুদের ফ্লাইট চালানোর সর্বোচ্চ সময়সীমা প্রায় শেষ হয়ে আসছিল।

ফলে, তাদের বিশ্রাম ও নতুন ক্রু নিয়োগের জন্য বিমানটিকে আইসল্যান্ডের রাজধানী রিকজাভিকে পুনরায় অবতরণ করতে হয়।

অবশেষে, প্রায় ২৩ ঘণ্টা পর, ৯ই এপ্রিল স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে বিমানটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

সাধারণত এই পথটুকু পাড়ি দিতে প্রায় ১১ ঘণ্টা সময় লাগে।

যাত্রীদের এই দীর্ঘ এবং অপ্রত্যাশিত ভ্রমণ নিঃসন্দেহে অত্যন্ত কষ্টকর ছিল।

বিমান সংস্থাটি এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

তবে, আকাশপথে ভ্রমণের সময় অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে যে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়, এই ঘটনা তারই একটি উদাহরণ।

বিমানযাত্রীদের নিরাপত্তা এবং স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *