আতঙ্কে! ট্রাম্পের নীতির জেরে কমছে ‘মডেলো’ ও ‘করোনা’র বিক্রি?

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির কড়াকড়ির কারণে মেক্সিকান বিয়ার প্রস্তুতকারক কোম্পানি মডেলো এবং করোনা’র বিক্রি কমে গেছে।

কোম্পানি দুটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কনস্টেলেশন ব্র্যান্ডস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা সিএনএন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির কারণে হিস্পানিক বা ল্যাটিনো সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়েছে। ফলে তারা এখন আগের মতো রেস্টুরেন্ট কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানে যাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন।

এমনকি ছোট ছোট দোকানগুলোতেও তাদের আনাগোনা কমে গেছে। কনস্টেলেশন ব্র্যান্ডস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উইলিয়াম নিউল্যান্ডস এক কনফারেন্স কলে বলেন, “হিস্পানিক সম্প্রদায়ের অনেক গ্রাহক বর্তমানে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন।

তাদের মধ্যে অনেকে মনে করছেন, অভিবাসন নীতির কারণে তাদের বিতাড়িত করা হতে পারে।”

উইলিয়াম নিউল্যান্ডস আরও জানান, পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, হিস্পানিক সম্প্রদায়ের লোকজন এখন সাধারণত যেসব দোকানে যান, সেখানে যাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন।

তাদের অনেকেই এখন বড় মুদি দোকানগুলোতে যাচ্ছেন, যাতে করে তাদের আলাদা করে চিহ্নিত করা না যায়।

গত কয়েক মাসে কনস্টেলেশন ব্র্যান্ডস-এর বিয়ারের সরবরাহ ১ শতাংশ কমেছে। বিশেষ করে যে এলাকাগুলোতে হিস্পানিক জনগোষ্ঠীর বসবাস বেশি, সেখানকার দোকানগুলোতে বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিউল্যান্ডস বলেন, ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি এবং শুল্কের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক অস্থিরতা কোম্পানিগুলোর উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে।

শুধু মডেলো ও করোনা নয়, বার্লিংটন, ফুট লকার, কোলগেট-পামোলিভ এবং মনস্টার-এর মতো কোম্পানিগুলোও হিস্পানিক গ্রাহকদের মধ্যে বিক্রি কমে যাওয়ার কথা জানিয়েছে।

কোলগেট-পামোলিভের ভাইস প্রেসিডেন্ট জন ফাউচার গত মাসে এক সম্মেলনে বলেন, “হিস্পানিক গ্রাহকদের কাছ থেকে আমাদের বিক্রি কমে গেছে, যা উদ্বেগের কারণ।”

বাজার গবেষণা সংস্থা সারকানার তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর হিস্পানিক গ্রাহকদের মধ্যে ঐচ্ছিক কেনাকাটা নন-হিস্পানিক গ্রাহকদের চেয়ে দ্রুত হারে কমেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অভিবাসন নীতি নিয়ে উদ্বেগের কারণে হিস্পানিক সম্প্রদায়ের মধ্যে কেনাকাটার প্রবণতা কমেছে।

আর এই কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *