ফর্মুলা ওয়ান (Formula 1) রেসিং তারকা কার্লোস সাইন্জকে (Carlos Sainz) দেরিতে জাতীয় সংগীতের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কারণে ১০,০০০ ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। যা বাংলাদেশি টাকায় বর্তমানে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার সমান।
জাপানি গ্র্যান্ড প্রিক্সে (Japanese Grand Prix) এই ঘটনা ঘটে। পেটের সমস্যার কারণে তিনি অনুষ্ঠানে সময় মতো উপস্থিত হতে পারেননি।
বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সাইন্জ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তিনি সবসময় সময়ানুবর্তিতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল, বিশেষ করে জাতীয় সংগীতের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে।
কিন্তু সামান্য কয়েক সেকেন্ড দেরিতে পৌঁছানোর জন্য এত বড় অঙ্কের জরিমানা দেওয়াটা তার কাছে একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এই ঘটনার পর, তিনি সম্ভবত আরও একটি জরিমানার সম্মুখীন হতে পারেন। কারণ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি একটি আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করেছেন।
নিয়ম অনুযায়ী, প্রেস কনফারেন্সে (Press Conference) এই ধরনের শব্দ ব্যবহারের জন্য তার উপর আবারও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
ফর্মুলা ওয়ানের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো রেসিং ড্রাইভার (Racing Driver) যদি জাতীয় সংগীতের অনুষ্ঠানে দেরিতে যোগ দেন, তাহলে তাকে সর্বোচ্চ ৬০,০০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
এই মৌসুমে, প্রেস কনফারেন্সে (Press Conference) খারাপ ভাষা ব্যবহারের জন্য ড্রাইভারদের জরিমানা বা পয়েন্ট কাটারও নিয়ম চালু হয়েছে।
প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটলে ৪০,০০০ ইউরো জরিমানা করা হবে। দ্বিতীয়বার একই ঘটনা ঘটলে জরিমানা দ্বিগুণ হবে এবং এক মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
তৃতীয়বার নিয়ম ভাঙলে, ১,২০,০০০ ইউরো জরিমানা এবং এক মাসের জন্য নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্টও কাটা যেতে পারে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, অন্য একজন রেসিং ড্রাইভার, জর্জ রাসেল (George Russell), যিনি গ্র্যান্ড প্রিক্স ড্রাইভার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান, সাইন্জের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে বিষয়টিকে ‘খুবই ব্যয়বহুল’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি আরও বলেন, সময় মতো অনুষ্ঠানে পৌঁছানো সবসময় সহজ হয় না।
অনেক সময় বাথরুম ব্যবহারের প্রয়োজন হয়, আবার গ্রিডে (Grid) আসার পর বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েও সময় লেগে যায়।
জরিমানা সংক্রান্ত বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি বলে রাসেল তার অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন