মহাকাশে উড়াল: কেটি পেরি’র প্রস্তুতি, মুগ্ধতা আর নতুন দিগন্তের সূচনা!

মহাকাশে উড়ান দিতে প্রস্তুত কেটি পেরি, সঙ্গী আরও কয়েকজন নারী: ভবিষ্যতের জন্য এক নতুন দিগন্ত।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পপ তারকা কেটি পেরি মহাকাশে পাড়ি জমাতে প্রস্তুত। জেফ বেজোসের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ব্লু অরিজিন-এর একটি বিশেষ অভিযানে তিনি অংশ নিচ্ছেন।

এই অভিযানে তাঁর সাথে থাকছেন আরও কয়েকজন নারী। এই খবরটি শুধু বিনোদন জগতের আলোড়ন সৃষ্টি করেনি, বরং নারী ক্ষমতায়ন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহীদের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

আসন্ন এই মহাকাশ অভিযানের জন্য কেটি পেরি নিজেকে প্রস্তুত করছেন। তিনি বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী কার্ল সাগান-এর লেখা ‘কসমস’ পড়ছেন এবং স্ট্রিং থিওরি নিয়েও পড়াশোনা করছেন।

মহাকাশ, জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং নক্ষত্রদের প্রতি তাঁর আগ্রহ সবসময়ই ছিল। তাঁর মতে, “আমরা সবাই নক্ষত্র-ধূলিকণা দিয়ে তৈরি, এবং আমরা সবাই নক্ষত্র থেকে এসেছি।”

এই মিশনে কেটির সাথে থাকছেন জেফ বেজোসের বাগদত্তা লরেন সানচেজ, সাংবাদিক গেইল কিং, প্রাক্তন নাসা রকেট বিজ্ঞানী এবং বর্তমানে একটি প্রকৌশল firm-এর প্রধান ঐশা বোয়ে, গবেষণা বিজ্ঞানী আমান্ডা নুয়েন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক কেরিয়ানে ফ্লিন। এটি একটি সম্পূর্ণ নারী-সমন্বিত অভিযান, যা মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

কেটি পেরি জানিয়েছেন, এই মিশনে অংশ নিতে পেরে তিনি গর্বিত। তিনি মনে করেন, এই অভিযান ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, “আমি প্রতিদিন নিজেকে বলছি, ‘তুমি সাহসী, তুমি সাহসী। তুমি এই কাজটি করছ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য, বিশেষ করে তরুণীদের অনুপ্রাণিত করতে, যেন তারা ভবিষ্যতে মহাকাশে যেতে পারে। কোনো সীমাবদ্ধতা নেই।”

ব্লু অরিজিন-এর এই মহাকাশ যাত্রা নারী মহাকাশচারীদের জন্য একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। ১৯৬৩ সালে ভ্যালেন্টিনা তেরেসকোভার একক মহাকাশ অভিযানের পর এই প্রথম কোনো সম্পূর্ণ নারী-সমন্বিত দল মহাকাশে যাচ্ছে।

কেটি পেরি মনে করেন, এই অভিযান বাণিজ্যিক মহাকাশ ভ্রমণের ভবিষ্যৎ এবং মানবতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। তিনি আরও উল্লেখ করেন, মহাকাশে যাওয়া মানুষের মধ্যে মাত্র ১১ শতাংশ নারী, এবং এই সংখ্যাটি আরও সমান হওয়া উচিত।

এই অভিযানের ঘোষণার পর অনেকে এর উচ্চ খরচ নিয়ে সমালোচনা করেছেন। তবে কেটি পেরি মনে করেন, এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা, যা নারী সমাজকে আরও উৎসাহিত করবে।

তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, এই ধরনের পদক্ষেপ তরুণীদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত (STEM) এর মতো বিষয়ে আগ্রহী করবে।

মহাকাশ যাত্রা শুরুর আগে কেটি পেরি তাঁর ভেতরের শক্তিকে জাগিয়ে তুলছেন। তিনি বলেছেন, “আমি আমার ভেতরের সেই নারীসত্ত্বাকে কাজে লাগাচ্ছি, যা আমার জন্মগত এবং যা আমার মেয়ের জন্মের পর আরও শক্তিশালী হয়েছে।”

তথ্যসূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *