ইউক্রেন যুদ্ধ: কিয়েভের পাশে দাঁড়িয়ে ২১ বিলিয়ন ইউরোর সামরিক সহায়তা!

ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার জন্য ২১ বিলিয়ন ইউরোর প্রতিশ্রুতি মিত্রশক্তির। ইউক্রেন যুদ্ধে সমর্থন যোগাতে দেশটির মিত্র দেশগুলো ২১ বিলিয়ন ইউরোর সামরিক সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে।

খবর অনুযায়ী, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধবিরতি আলোচনা বিলম্বিত করছেন। ব্রাসেলসে ইউক্রেন প্রতিরক্ষা বিষয়ক একটি বৈঠকে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত এক মাসের যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

বৈঠকে জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেন, ইউক্রেন বর্তমানে বৃহত্তর একটি সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এটি স্বাধীনতা ও নিপীড়ন, বৈশ্বিক মানদণ্ড এবং আগ্রাসী সাম্রাজ্যবাদের মধ্যে লড়াই।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে। অন্যদিকে, দ্রুত যুদ্ধ বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা এখনো সফল হয়নি।

ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ সেন্ট পিটার্সবার্গে পুতিনের উপদেষ্টা কিরিল দিমিত্রিভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর আগে দিমিত্রিভ ওয়াশিংটন সফর করেন।

তবে ক্রেমলিন সতর্ক করে জানিয়েছে, কোনো ‘বড়ো ধরনের’ সাফল্যের সম্ভাবনা নেই। বৈঠকে রাশিয়া আলোচনার শর্ত হিসেবে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ, প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকার অপসারণ এবং ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছে।

এছাড়াও, তারা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেরও কথা বলেছে। বৈঠকের আগে ট্রাম্প এক বিরল সতর্কবার্তায় বলেছিলেন, “রাশিয়াকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

সেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। এই যুদ্ধটি কখনোই হওয়া উচিত ছিল না।” যুক্তরাজ্য এবং নরওয়ে যৌথভাবে রাডার সিস্টেম, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মাইন এবং “শত শত” ড্রোন সরবরাহ করবে।

জার্মানি কিয়েভকে চারটি ‘প্যাট্রিয়ট’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, ১৫টি ‘লেপার্ড ১’ ট্যাংক, আরও গোয়েন্দা ড্রোন এবং ১ লক্ষ আর্টিলারি রাউন্ড সরবরাহ করবে। এ বিষয়ে পিস্টোরিয়াস বলেন, “আমরা যা পাবো, তাই কিনব।”

বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার মিত্রদের নতুন ‘প্যাট্রিয়ট’ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করার আহ্বান জানান। কিয়েভের পক্ষ থেকে আরও ১০টি এমন ব্যবস্থা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন বলেও জানানো হয়।

এস্তোনিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হ্যানো পেভকুর বলেন, “এ কারণেই আমাদের সরবরাহ দ্রুত করতে হবে।” তবে, কতগুলো দেশ ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে প্রস্তুত, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং বাল্টিক দেশগুলো শান্তি আলোচনার প্রেক্ষাপটে সেনা পাঠানোর কথা বলেছে। যুক্তরাজ্য বলছে, কোনো মিশনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা অত্যাবশ্যক।

তবে ট্রাম্প প্রশাসন এতে সমর্থন জানায়নি এবং ইউক্রেনের নিরাপত্তা এখন ইউরোপের সমস্যা বলে মনে করছে। তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *