গর্ভপাতের পর তরুণীকে কেন গ্রেফতার করলো পুলিশ? আসল কারণ!

যুক্তরাষ্ট্রে এক তরুণীর গর্ভপাতের পর আটকের ঘটনা, পরে অভিযোগ খারিজ।

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে এক তরুণীর গর্ভপাতের পর তাকে গ্রেফতার করার ঘটনা ঘটেছে। ২৪ বছর বয়সী সেলেনা চ্যান্ডলার-স্কট নামের ওই নারীর বিরুদ্ধে প্রথমে মৃতদেহ গোপন ও পরিত্যক্ত করার অভিযোগ আনা হয়। তবে পরে আইনি দুর্বলতার কারণে জেলা অ্যাটর্নি অভিযোগগুলো তুলে নেন।

জানা যায়, গত ২০ মার্চ টিফটন শহরে সেলেনা চ্যান্ডলার-স্কটের ১৯ সপ্তাহের গর্ভপাত হয়। ঘটনার পর জরুরি বিভাগের কর্মীরা তাকে চিকিৎসা দেন। এরপর ২১ মার্চ টিফটন পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (টিপিডি) তাকে গ্রেফতার করে। টিপিডি জানায়, সেলেনাকে টিফট কাউন্টি শেরিফের হেফাজতে রাখা হবে।

তবে, আদালতে সেলেনার হাজিরা হয়নি। ৪ এপ্রিল টিফট কাউন্টির জেলা অ্যাটর্নি প্যাট্রিক ওয়ারেন জানান, অভিযোগগুলো প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওয়ারেন এক বিবৃতিতে বলেন, টিপিডির তদন্ত প্রতিবেদন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং জর্জিয়ার প্রাসঙ্গিক আইন ও মামলার পর্যালোচনা করে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ওয়ারেন আরও বলেন, ‘ঘটনাটি হৃদয়বিদারক এবং এতে জড়িত সকলের জন্য এটি অত্যন্ত কষ্টের। তবে আমাদের সিদ্ধান্ত অবশ্যই আইনের ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত, আবেগ বা ধারণার ওপর নয়।’

জেলা অ্যাটর্নি ব্যাখ্যা করেন, রাজ্যের আইন অনুযায়ী, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে হলে ভিকটিমকে মায়ের থেকে ‘আলাদাভাবে জন্ম নিতে ও জীবিত থাকতে’ হত। ময়নাতদন্তে জানা যায়, সেলেনার স্বাভাবিক গর্ভপাত হয়েছে।

জর্জিয়ার আইন অনুযায়ী, কোনো শিশুর হৃৎস্পন্দন শনাক্ত হলে (যা সাধারণত ছয় সপ্তাহের মধ্যে সম্ভব) গর্ভপাত করানো যায় না।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঘটনার দিন সকালে একটি অ্যাপার্টমেন্টে এক নারীকে অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে জানা যায়, তিনি হলেন সেলেনা চ্যান্ডলার-স্কট। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই নারী ভ্রূণটিকে একটি ব্যাগে ভরে ডাস্টবিনে ফেলে দেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রূণটি উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

এদিকে, সেলেনার আইনি সহায়তা ও অন্যান্য খরচের জন্য একটি অনলাইন ফান্ডে প্রায় ২৩ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫ লাখ টাকার বেশি) উঠেছে।

তথ্যসূত্র: পিপলস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *