এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্সের ‘ওপস!…আই ডিড ইট অ্যাগেইন’ গানের ভিডিওতে নভোচারীর চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পাওয়া এলি সোয়ানসন এখন একজন সফল চিকিৎসক। ২৫ বছর আগের সেই ভিডিওর স্মৃতি আজও তাকে তাড়া করে ফেরে, তবে এখন তিনি ব্যস্ত নিজের চিকিৎসা পেশা নিয়ে।
ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা এলি সোয়ানসন, যিনি পেশায় একজন অর্থোপেডিক ট্রমা সার্জন (হাড়ের আঘাত বিশেষজ্ঞ)। ১৯৯৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ওপস!…আই ডিড ইট অ্যাগেইন’ গানটির ভিডিওতে নভোচারীর পোশাকে তাকে দেখা গিয়েছিল। সে সময়ে তার বয়স ছিল মাত্র ২২ বছর। ব্রিটনি স্পিয়ার্সের সাথে কাজ করার সুযোগ পাওয়াটা ছিল তার জন্য এক দারুণ অভিজ্ঞতা।
সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “ভিডিওর শুটিংয়ের সময় আসল নাসার স্পেস স্যুট পরেছিলাম। বিশাল একটি সাউন্ড স্টেজে এর দৃশ্যধারণ করা হয়, যার অর্ধেক ছিল সবুজ পর্দা এবং অন্য অর্ধেকের লাল পাথর ছিল, যা মঙ্গল গ্রহের পরিবেশের মতো দেখাচ্ছিল।”
ভিডিওটি পরিচালনা করেছিলেন নাইজেল ডিক। শুটিংয়ের সময়কার একটি ঘটনার কথা বলতে গিয়ে সোয়ানসন জানান, “একটি দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় ক্যামেরার একটি অংশ খুলে ব্রিটনির মাথায় লাগে। সঙ্গে সঙ্গে শুটিং বন্ধ করতে হয়, কারণ তার চিকিৎসা প্রয়োজন ছিল। তবে সে বিষয়টি বেশ ভালোভাবেই সামলেছিল।”
ভিডিওটি মুক্তির পর পরিচিতি বাড়লেও, চিকিৎসা বিজ্ঞানে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন তিনি কখনোই ভোলেননি। মিডিয়া জগৎ থেকে দূরে গিয়ে তিনি মনোনিবেশ করেন পড়াশোনায়। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস থেকে অবশেষে তিনি পড়াশোনা সম্পন্ন করেন।
বর্তমানে অ্যারিজোনায় চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি।
সোয়ানসনের জীবনে ব্রিটনি স্পিয়ার্সের সঙ্গে আরও কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত রয়েছে। একবার নিউইয়র্কের একটি নাইট ক্লাবে ব্রিটনির সঙ্গে তার দেখা হয়। ব্রিটনি তাকে চিনতে পেরে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়া, এক মডেলিং এজেন্সির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ব্রিটনি এবং ক্রিস্টিনা আগুইলেরাকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল।
চিকিৎসা পেশায় আসার বিষয়ে তিনি বলেন, “সার্জন হওয়াটাই ছিল আমার আসল লক্ষ্য। আমি মনে করি, সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছি।”
তথ্যসূত্র: পিপল
 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
				
			 
				
			 
				
			 
				
			