দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ইউন সুক-ইওল সম্প্রতি তার পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পর রাজধানী সিউলের একটি অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে এসেছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী এবং তাদের ১১টি পোষা কুকুর ও বিড়াল।
শুক্রবার তিনি গ্যাংনাম এলাকার ‘অ্যাক্রোভিস্তা’ অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে ওঠেন। এই খবর আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ইউন সুক-ইওলকে অভিশংসিত করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে সামরিক আইন জারির ব্যর্থ চেষ্টার অভিযোগ ছিল।
ঐ ঘটনার পর তিনি ক্ষমতা হারান। পোষা প্রাণীর প্রতি ভালোবাসার জন্য পরিচিত ইউন এবং তার স্ত্রী কিম কিয়ন-হি তাদের নতুন জীবন শুরু করেছেন।
এই দম্পতির অ্যাপার্টমেন্টটি ১৬৪ বর্গমিটারের। এটি হ্যান নদীর দক্ষিণে অবস্থিত গ্যাংনাম এলাকার একটি সুপরিচিত আবাসিক কমপ্লেক্সে অবস্থিত।
এই কমপ্লেক্সে বসবাস করা কয়েকজন প্রতিবেশী প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের প্রত্যাবর্তনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, ইউন সুক-ইওলের রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময়ে নেওয়া কিছু সিদ্ধান্তের কারণে সমাজে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রাক্তন এই রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রায় ৫০ জন নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হবে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, তিনি অন্তত পাঁচ বছর পর্যন্ত এই নিরাপত্তা সুবিধা পাবেন।
আবাসিক কমপ্লেক্সটিতে তিনটি ৩৭ তলা বিশিষ্ট টাওয়ার রয়েছে, যেখানে ৭৫০ জনের বেশি পরিবারের বসবাস।
সাধারণত, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টরা ক্ষমতা ছাড়ার পর শহর থেকে দূরে নির্জন বাড়িতে বসবাস করেন। এর ফলে তারা বেশি গোপনীয়তা উপভোগ করতে পারেন।
তবে ইউন সুক-ইওলের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটেনি। ধারণা করা হচ্ছে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু বিষয় বিবেচনা করে তার ব্যক্তিগত বাড়িতে ফেরার সিদ্ধান্ত এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, কিছু প্রতিবেশী আশঙ্কা করছেন যে, এই কমপ্লেক্সটি ইউন সুক-ইওলের সমর্থক ও সমালোচকদের কেন্দ্র হয়ে উঠবে। যদিও ভবনের প্রবেশপথে তাদের স্বাগত জানিয়ে একটি ব্যানার টাঙানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, অ্যাক্রোভিস্তা কমপ্লেক্সটি ১৯৯৫ সালে একটি বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ধসে পড়ার স্থানে নির্মিত হয়েছে। ঐ দুর্ঘটনায় প্রায় ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
তথ্য সূত্র: সিএনএন