কুইন্সল্যান্ডের কারাগারে বন্দী, কিশোরী হত্যা মামলার আসামি রিক থর্নবার্নের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার স্থানীয় সময় রাত দশটার দিকে উডফোর্ড কারেকশনাল সেন্টারের (Woodford Correctional Centre) সেলে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। কুইন্সল্যান্ড কারেকটিভ সার্ভিসেস (Queensland Corrective Services) এই খবর নিশ্চিত করেছে।
৬৪ বছর বয়সী রিক থর্নবার্ন ২০১২ সালে তার পালিত মেয়ে, ১২ বছর বয়সী টিয়ালেইগ পামারকে (Tiahleigh Palmer) হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছিলেন। কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, থর্নবার্নকে তার সেলে নিথর অবস্থায় পাওয়ার পর জরুরি বিভাগের কর্মীরা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয় এবং একটি তদন্ত শুরু হয়েছে। কুইন্সল্যান্ডে (Queensland) কারাগারে কোনো আসামীর মৃত্যু হলে, সাধারণত সেখানকার করোনারের (coroner) কাছে বিষয়টি পাঠানো হয়।
২০১৫ সালে টিয়ালেইগকে হত্যার অভিযোগে ২০১৮ সালে থর্নবার্নের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। জানা যায়, টিয়ালেইগকে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা স্বীকার করে থর্নবার্নের ছেলে ট্রেন্ট। মেয়েটি হয়তো গর্ভবতী হয়ে পড়েছে, এমন ধারণা থেকেই টিয়ালেইগকে খুন করা হয়।
ঘটনার পর, থর্নবার্ন টিয়ালেইগের মরদেহ পিম্পামা নদীর (Pimpama River) ধারে ফেলে দেন।
২০২১ সালে কুইন্সল্যান্ডের একজন করোনর (coroner) নিশ্চিত করেন যে, শ্বাসরোধের মাধ্যমে টিয়ালেইগকে হত্যা করা হয়েছে। যদিও থর্নবার্ন দাবি করেছিলেন, এটি একটি দুর্ঘটনা ছিল।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে টিয়ালেইগকে দেখাশোনার জন্য একটি পরিবারের কাছে দেওয়া হয়। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে থর্নবার্নের পরিবারই ছিল তার দেখাশোনার দায়িত্বে।
টিয়ালেইগের মৃত্যুর আগে, থর্নবার্ন টিয়ালেইগের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন। এই ঘটনায় থর্নবার্নের স্ত্রী এবং দুই ছেলেও অভিযুক্ত ছিলেন। তাদেরও কারাদণ্ড হয়েছিল।
থর্নবার্ন ২০৩৮ সালে প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার যোগ্য ছিলেন।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান