শিরোনাম: নাবালিকা ধর্ষণ: ডিএনএ প্রমাণ রাখতে অভিযুক্তের বাড়িতে নিজের চুল ফেলল ১৩ বছরের কিশোরী
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে এক ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে। ১৯ বছর বয়সী অ্যাঞ্জেল লোপেজ নামের এক যুবক ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লোপেজ মেয়েটিকে অনলাইনে, বিশেষ করে টিকটকের মাধ্যমে ফুসলিয়ে ফিলাডেলফিয়ায় তার বাড়িতে ডেকে পাঠায়, যেখানে এই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ অনুযায়ী, লোপেজ মেয়েটিকে ওয়েস্টমোরল্যান্ড কাউন্টি থেকে ফিলাডেলফিয়ায় নিয়ে আসার জন্য একটি উবার ভাড়া করেন এবং সেখানে তাকে মাদকদ্রব্য সরবরাহ করেন। এরপর, লোপেজ মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
ঘটনার পর, লোপেজ কিশোরীকে তার ডিএনএ মুছে ফেলতে বলে। কিন্তু মেয়েটি চালাকি করে অভিযুক্তের বাড়িতে নিজের কিছু চুল ফেলে আসে, যাতে তার ডিএনএ প্রমাণ হিসেবে থেকে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, লোপেজ মেয়েটিকে ঘটনার পরে নাকি বলেছিলেন, ‘তোমাকে কেউ খুঁজে পাবে না।’ এর পরেই মেয়েটি এই পরিকল্পনা করে।
তদন্তকারীরা বলছেন, লোপেজ নাকি মেয়েটিকে কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস সাথে করে ফিলাডেলফিয়া নিয়ে যেতে নিষেধ করেছিলেন।
জানা গেছে, ঘটনার আগে অভিযুক্তের সাথে মেয়েটির টিকটকের মাধ্যমে দীর্ঘ কথোপকথন হয়েছিল। লোপেজ মেয়েটির সাথে ১,৮৬২ পৃষ্ঠার বার্তা বিনিময় করেছিলেন।
কিশোরীটি পুলিশকে জানায়, তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক নিয়ে বার্তা চালাচালি হতো এবং ফিলাডেলফিয়া যাওয়ার বিষয়ে তার দ্বিধা ছিল।
মেয়েটি যখন তার উদ্বেগের কথা জানায়, তখন লোপেজ নাকি আত্মহত্যা করার হুমকি দিয়েছিল।
মেয়েটির পরিবার ১৪ই মার্চ তাকে খুঁজে না পেয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করে। পরে পুলিশের তদন্তে তার ফোনের লোকেশন লোপেজের অ্যাপার্টমেন্টের কাছাকাছি পাওয়া যায়।
বর্তমানে অ্যাঞ্জেল লোপেজকে আটক করা হয়েছে এবং আগামী ১৪ই মে তার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে পরিবার এবং সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।
অনলাইনে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত।
যৌন নির্যাতনের শিকার হলে বাংলাদেশের আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) অথবা মহিলা পরিষদের মতো সংগঠনগুলোর সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।
এছাড়া, জরুরি পরিস্থিতিতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চাওয়া যেতে পারে।
তথ্যসূত্র: পিপল