যুক্তরাষ্ট্রে জন্মহার হ্রাসের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যা দেশটির নীতিনির্ধারক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২০১৬ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দেশটিতে সন্তান জন্মদানের হার ১২ শতাংশ কমে গেছে।
এই পরিস্থিতিতে, কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি জনসংখ্যা বৃদ্ধির পক্ষে ওকালতি করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন মন্ত্রী শান ডাফি, যিনি নিজে নয় সন্তানের জনক, অবকাঠামো খাতে অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে বেশি জন্মহার সম্পন্ন এলাকাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছেন।
এই পদক্ষেপের ফলে কম জন্মহারের রাজ্যগুলোতে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, আবার অনেকে একে সমর্থন করছেন। তাঁদের মতে, সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।
অন্যদিকে, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং অন্তত ১৩ সন্তানের জনক ইলন মাস্কও বেশি সন্তান নেওয়ার জন্য অন্যদের উৎসাহিত করেছেন। তিনি বিশ্বজুড়ে জন্মহার কমার ঘটনাকে একটি সংকট হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (Centers for Disease Control and Prevention) -এর তথ্য অনুযায়ী, রাজ্য ভেদে জন্মহারের ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, সাউথ ডাকোটা রাজ্যে প্রতি ১০০০ জন মহিলার মধ্যে জন্মহার হলো ৬৫.৬৪ জন, যা সর্বোচ্চ। আর ভারমন্ট রাজ্যে এই হার ৪২.১, যা সর্বনিম্ন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জন্মহার কমে যাওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যেমন – মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন, দেরিতে বিয়ে করা, কর্মজীবনের চাপ, এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ইত্যাদি। এই পরিস্থিতিতে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির পক্ষে কথা বলা একটি নতুন প্রবণতা সৃষ্টি করেছে, যা নীতিনির্ধারক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে, টেক্সাসে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে বক্তা কেভিন ডোলান জানান, জনসংখ্যা হ্রাসের বিষয়টি ইলন মাস্ক, জেডি ভ্যান্স এবং ট্রাম্প প্রশাসনের অনেকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন
 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
				
			 
				
			 
				
			 
				
			