আতঙ্কের শীর্ষে ব্ল্যাক মিরর! ৭ সিজনের সেরা এপিসোড!

ব্ল্যাক মিরর: প্রযুক্তির অন্ধকার জগৎ আর সেরা কিছু এপিসোড

প্রযুক্তি আর সমাজের মধ্যেকার সম্পর্ক নিয়ে তৈরি হওয়া জনপ্রিয় সিরিজ ‘ব্ল্যাক মিরর’। ২০১৬ সাল থেকে নেটফ্লিক্সে (Netflix) এর যাত্রা শুরু হয়, যা দর্শকদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

সম্প্রতি, এর সপ্তম সিজন মুক্তি পেয়েছে, যেখানে পুরোনো আকর্ষণীয় গল্পগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়েছে। যারা এখনো এই সিরিজটি দেখেননি, তাদের জন্য এটি হতে পারে এক নতুন অভিজ্ঞতা। আসুন, এই সিরিজের সেরা কিছু এপিসোড সম্পর্কে জানা যাক।

ব্ল্যাক মিরর মূলত ভবিষ্যতের প্রযুক্তি আর তার সম্ভাব্য খারাপ দিকগুলো নিয়ে তৈরি। মানুষের জীবনযাত্রায় প্রযুক্তির প্রভাব, সামাজিক সম্পর্ক, এবং নৈতিক অবক্ষয় – এই বিষয়গুলো সিরিজের প্রধান আলোচ্য বিষয়। প্রতিটি এপিসোড এক একটি স্বতন্ত্র গল্প, যেখানে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে প্রযুক্তির কুফলগুলো তুলে ধরা হয়।

এই সিরিজের সবচেয়ে আলোচিত এপিসোডগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ‘ইউএসএস ক্যালিস্টার’ (USS Callister)। এই পর্বে একজন গেমিং ডেভেলপারের প্রতিশোধের গল্প দেখানো হয়েছে, যিনি ভার্চুয়াল জগতে তার সহকর্মীদের উপর ক্ষমতার প্রয়োগ করেন। এই এপিসোডটি একাধিক এমি অ্যাওয়ার্ডও জিতেছে।

সপ্তম সিজনে এই গল্পের ধারাবাহিকতা ‘ইউএসএস ক্যালিস্টার: ইনটু ইনফিনিটি’ (USS Callister: Into Infinity) নামে নতুন করে সাজানো হয়েছে।

এছাড়াও, ‘নোজডাইভ’ (Nosedive) একটি গুরুত্বপূর্ণ এপিসোড। যেখানে সামাজিক রেটিং-এর ধারণা তুলে ধরা হয়েছে। মানুষ কীভাবে সামাজিক সম্মানের জন্য নিজেদের জীবন পরিবর্তন করে, সেটাই এই গল্পের মূল বিষয়।

‘মেটালহেড’ (Metalhead) -এ দেখানো হয়েছে, কীভাবে মানুষ যন্ত্রের সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতে পারে। একটি ধ্বংস হয়ে যাওয়া সমাজে, রোবোটিক কুকুরের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করাই এই গল্পের মূল আকর্ষণ।

‘প্লেটেস্ট’ (Playtest) -এ একজন গেমারের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা দেখানো হয়েছে। যেখানে ভার্চুয়াল রিয়ালিটির (Virtual Reality) জগতে প্রবেশের পর সে তার নিজের ভয়ের মুখোমুখি হয়।

‘র‍্যাচেল, জ্যাক অ্যান্ড অ্যাশলে টু’ (Rachel, Jack and Ashley Too) – তে পপ তারকা অ্যাশলে ও-এর (Ashley O) চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় গায়িকা মাইলি সাইরাস। এখানে খ্যাতি আর নিয়ন্ত্রণের মধ্যেকার সম্পর্ক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

‘ডেমোন ৭৯’ (Demon 79) – তে একজন সাধারণ নারী, যিনি একটি প্রাচীন তালিসমান খুঁজে পাওয়ার পর এক ডেমনকে মুক্তি দেন। এরপর তাকে বেছে নিতে হয় তিনটি আত্মত্যাগের সিদ্ধান্ত, যা পুরো গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

এই পর্বটির জন্য লেখক বিভাগে বাফটা পুরস্কারও (BAFTA) জেতা হয়েছে।

‘সান জুনিপেরো’ (San Junipero) – তে দুটি মেয়ের ভালোবাসার গল্প দেখানো হয়েছে। যেখানে তারা ভার্চুয়াল জগতে তাদের পুরনো রূপে ফিরে আসার সুযোগ পায়।

‘জোয়ান ইজ অফুল’ (Joan Is Awful) – এ দেখা যায়, একজন সাধারণ নারীর দৈনন্দিন জীবন একটি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে (streaming platform) সম্প্রচারিত হচ্ছে। স্যালমা হায়েক এই পর্বে জোয়ানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

‘হ্যাং দ্য ডিজে’ (Hang the DJ) – তে নিখুঁত সঙ্গী খুঁজে বের করার চেষ্টা নিয়ে গল্পটি সাজানো হয়েছে।

‘ব্ল্যাক মিরর: বান্ডারসন্যাচ’ (Black Mirror: Bandersnatch) – হলো একটি ইন্টারেক্টিভ ফিল্ম। যেখানে দর্শক গল্পের গতিপথ বেছে নেওয়ার সুযোগ পায়।

ব্ল্যাক মিরর-এর গল্পগুলো একদিকে যেমন প্রযুক্তি আর সমাজের সম্পর্ক নিয়ে গভীর আলোচনা করে, তেমনি দর্শকদের মনে ভীতির সঞ্চার করে। যারা সাই-ফাই (Sci-Fi) এবং ডার্ক থ্রিলার (Dark Thriller) পছন্দ করেন, তাদের জন্য এই সিরিজটি একটি দারুণ পছন্দ হতে পারে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *