বিখ্যাত লেখিকা কিট ডি ওয়াল তাঁর পছন্দের কিছু সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন। ১৯৬০ সালে বার্মিংহামে জন্ম নেওয়া এই লেখকের আসল নাম ম্যান্ডি থেরেসা ও’লফলিন।
সাহিত্যের জগতে তিনি সুপরিচিত ‘কিট ডি ওয়াল’ নামেই। সম্প্রতি প্রকাশিত তাঁর নতুন বই ‘দ্য বেস্ট অফ এভরিথিং’।
আসুন, তাঁর চোখে দেখা কিছু বিশেষ দিক সম্পর্কে জানি।
প্রথমেই, নাট্যজগতের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ – ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জলাভ’। এই নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছে নয়েল কাওয়ার্ড থিয়েটারে, যেখানে স্টিভ কোগানকে দেখা গেছে প্রধান চরিত্রে।
কিট ডি ওয়াল-এর মতে, স্টিভ কোগানের অসাধারণ অভিনয় ক্ষমতা দর্শকের মন জয় করে নেয়। তাঁর উপস্থিতি এতটাই শক্তিশালী যে, অনুবাদ হলেও, দর্শকদের বুঝতে কোনো অসুবিধা হয় না।
শিল্পকলার প্রতি ডি ওয়ালের আগ্রহও গভীর। তিনি ওয়ারউইকশায়ারের কমpton ভার্নি আর্ট গ্যালারিতে যাওয়াটা বেশ উপভোগ করেছেন।
সেখানে প্রদর্শিত হচ্ছে সপ্তদশ শতকের একটি বিশেষ চিত্রকর্ম। যেখানে দুজন নারীর ছবি দেখা যায়, এবং তাদের মধ্যেকার পারস্পরিক অবস্থান ও গুরুত্ব বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
সাধারণত, এমন ছবিতে শ্বেতাঙ্গ নারীর পাশে কৃষ্ণাঙ্গ নারীকে গৌণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু এই ছবিতে, উভয় নারীকেই সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সঙ্গীতের প্রতি ডি ওয়ালের ভালোবাসা নতুন নয়। তিনি সম্প্রতি ফোক গায়ক স্কট ম্যাথিউস-এর গান শুনে মুগ্ধ হয়েছেন।
তাঁর গানের কথার গভীরতা ডি ওয়ালকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে। স্কট ম্যাথিউস-এর ‘মোনা’ গানটি তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাসের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল।
প্যারিসের পম্পিদু সেন্টারে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘প্যারিস ব্ল্যাক’ শীর্ষক প্রদর্শনী নিয়েও তিনি উচ্ছ্বসিত। এই প্রদর্শনীতে ১৯৫০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ফরাসি শিল্পী-সমাজের ওপর কৃষ্ণাঙ্গ শিল্পীদের প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে।
ধ্রুপদী সঙ্গীতের প্রতি ডি ওয়ালের দুর্বলতা সবারই জানা। সেন্ট মেরি লে স্ট্র্যান্ড চার্চে পরিবেশিত র্যাখমানিনভের ২য় পিয়ানো কনসার্ট তাঁর অন্যতম প্রিয় একটি পরিবেশনা।
তাঁর মতে, এই সুর যেন গভীর প্রেম ও বেদনার প্রতিচ্ছবি।
সবশেষে, তিনি গিয়েছিলেন হুইটবি অ্যাবেতে। ব্রাম স্টোকারের ‘ড্রাকুলা’ উপন্যাসের অনুপ্রেরণা এসেছিল এই স্থান থেকেই।
ডি ওয়াল-এর মতে, এখানকার পরিবেশ খুবই সুন্দর ও রহস্যময়।
কিট ডি ওয়ালের এই সাংস্কৃতিক পছন্দগুলি প্রমাণ করে যে, সাহিত্য, শিল্পকলা, সঙ্গীত এবং স্থাপত্যের প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহ রয়েছে।
তাঁর এই রুচি, আমাদের সংস্কৃতি এবং জীবনের প্রতিচ্ছবি।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান