ফ্লোরিডার টাম্পা শহরে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় কুড়ি বছর বয়সী এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গত ১৭ই মার্চ, একটি ডাম্প ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হন ইসমাইল কস জুনিয়র, যিনি একটি মুভিং কোম্পানির কর্মী ছিলেন।
জানা গেছে, তিনি রাস্তার পাশে কোম্পানির সাইনবোর্ড লাগানোর সময় এই দুর্ঘটনার শিকার হন।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ডাম্প ট্রাকটি সড়কের যানজট লক্ষ্য করতে ব্যর্থ হয়ে কয়েকটি গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটায়। এই দুর্ঘটনায় নিহত হন একটি মিনিভ্যানের চালক, এবং গুরুতর আহত হয় দুইটি শিশু।
ইসমাইল কস জুনিয়রের পরিবার তাদের ছেলের মৃত্যুর জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে সংশ্লিষ্ট মুভিং কোম্পানি, ডাম্প ট্রাকের মালিক এবং চালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। পরিবারের আইনজীবী জানিয়েছেন, এই মামলার মাধ্যমে তাঁরা চান, তাঁদের ছেলের অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি করতে।
নিহত তরুণের বাবা-মা জানিয়েছেন, তাঁদের ছেলে কোম্পানির হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সাইনবোর্ড লাগানোর কাজ করতেন। তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, কোম্পানির কর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না।
তাঁদের মতে, এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুদের (তরুণ কর্মী) পাঠানো উচিত হয়নি।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, নিহত তরুণের কর্মীর কোম্পানি, কলেজ হাঙ্কস হাউলিং জাঙ্ক অ্যান্ড মুভিং, এর আগে সড়কের পাশে নিয়ম ভেঙে সাইনবোর্ড লাগানোর জন্য চারবার অভিযুক্ত হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর, কলেজ হাঙ্কস নিহত তরুণের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে এবং একটি গোফান্ডমি (GoFundMe) পেজের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করেছে। এই পেজে ইতোমধ্যে ১১,০০০ ডলারের বেশি অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে।
কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং কর্মীদের জীবন রক্ষার গুরুত্ব নিয়ে বাংলাদেশেও বিভিন্ন সময়ে আলোচনা হয়। এই ঘটনার পর, শ্রমিক নিরাপত্তা এবং দুর্ঘটনারোধের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা আবারও সামনে এসেছে।
তথ্যসূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা।