নারী, যিনি তার চেয়ে কম উপার্জন করেন এমন পুরুষের সঙ্গে ডেটিং করতে চান না, এমনকি তারা ভালো মানুষ হলেও—এই বিষয়ে নিজের সিদ্ধান্তের সঠিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সম্প্রতি, তিনি জানতে চেয়েছেন, এই ধরনের পছন্দ করাটা কি আসলে দাম্ভিকতা নাকি জীবনযাত্রার মান বজায় রাখার সচেতনতা?
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় একটি জনপ্রিয় অনলাইন ফোরামে, যেখানে ওই নারী তার মতামত জানান। তিনি বলেন, একটি নির্দিষ্ট জীবনযাত্রার জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তাই, এমন একজন সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে তিনি দ্বিধা বোধ করেন, যিনি তার সমান বা বেশি উপার্জন করেন না। তার মতে, এটি ভালোবাসার চেয়ে বরং সঙ্গীর সঙ্গে জীবনযাত্রার মিলের একটি প্রশ্ন। তিনি আরও জানতে চান, এই বিষয়টি তাকে কি দাম্ভিক করে তোলে?
এই পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এপ্রিল মাসের ১০ তারিখে পোস্টটি করার পর মাত্র একদিনের মধ্যেই ৩০০ জনের বেশি মানুষ তাদের মতামত জানিয়েছেন। মন্তব্যকারীদের মধ্যে কেউ কেউ নারীর এই সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, আবার অনেকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টিকে দেখতে বলেছেন।
সমর্থনকারীদের একজন জানান, তিনি এমন একজন পুরুষের সঙ্গে ২০ বছর বিবাহিত ছিলেন, যিনি তেমন উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছিলেন না এবং প্রায়ই বেকার থাকতেন। ওই নারী জানান, তাদের বিবাহিত জীবনে তিনি স্বামীর চেয়ে অন্তত দ্বিগুণ উপার্জন করেছেন। এই কারণে, তিনি এখন এমন একজন পুরুষকে সঙ্গী হিসেবে চান না, যিনি আর্থিকভাবে তার উপর নির্ভরশীল হবেন।
অন্যদিকে, ভিন্নমত পোষণ করে একজন মন্তব্যকারী দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের কথা বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি জানান, তাদের দাম্পত্য জীবনে তারা বহুবার শীর্ষ উপার্জনকারী হিসেবে ভূমিকা পরিবর্তন করেছেন, কিন্তু তাতে তাদের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়েনি। তাদের সমস্ত অর্থ একটি সাধারণ খাতে জমা হয়, যেখানে কে বেশি উপার্জন করছে, সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়।
আরেকজন মন্তব্যকারী মনে করেন, ওই নারী হয়তো ভালো একজন পুরুষকে প্রত্যাখ্যান করার সম্ভাবনা তৈরি করছেন। তিনি আরও বলেন, মানুষ তার পছন্দ অনুযায়ী যে কাউকে বেছে নিতে পারে, তবে এর কারণে ভালো একজন মানুষকে হারাতে হতে পারে।
এই ঘটনার মাধ্যমে, সমাজে নারী-পুরুষের সম্পর্ক এবং আর্থিক সঙ্গতির গুরুত্ব নিয়ে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। বিশেষ করে, আমাদের সমাজে বিয়ের ক্ষেত্রে আর্থিক স্থিতিশীলতাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে, ব্যক্তিবিশেষে এই ধারণার ভিন্নতা থাকতে পারে।
তথ্যসূত্র: People