আশ্চর্যের বিষয়! এল সালভাদরে জীবিত, ট্রাম্প প্রশাসনের স্বীকারোক্তি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উন্মোচন করে, সম্প্রতি বিতর্কের কেন্দ্রে এসেছেন ক্লিয়ার অ্যাব্রেগো গার্সিয়া নামের একজন ব্যক্তি। জানা গেছে, প্রায় ১৪ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে বসবাস করা ২৯ বছর বয়সী এই অভিবাসীকে গত মাসে ভুল করে এল সালভাদরে ফেরত পাঠানো হয়।

এই ঘটনার পর, গার্সিয়াকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য দেশটির সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্প প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়।

বর্তমানে গার্সিয়া এল সালভাদরের একটি কারাগারে বন্দী রয়েছেন বলে জানা গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, গার্সিয়া “নিরাপদে” আছেন এবং তিনি এল সালভাদরের কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।

তবে, তাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তারা ঠিক কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে তারা রাজি হয়নি।

এই ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগে তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। বিচারক পাওলা জিক্সিন এক শুনানিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানতে চান, গার্সিয়া কোথায় আছেন এবং তাকে ফিরিয়ে আনতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বিচারক জানান, তিনি কোনো গোপন তথ্য জানতে চাইছেন না, বরং জানতে চাইছেন, গার্সিয়াকে কেন ফেরত পাঠানো হলো এবং তাকে ফিরিয়ে আনতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

আদালতের তথ্য অনুযায়ী, গার্সিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি এমএস-১৩ গ্যাংয়ের সদস্য ছিলেন। যদিও গার্সিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, এমএস-১৩ একটি কুখ্যাত আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্র, যা বিভিন্ন দেশে তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য পরিচিত।

এই বিতর্কের মধ্যে, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নাইয়িব বুকেলে-র মধ্যে একটি বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, গার্সিয়াকে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি ত্বরান্বিত করার দায়িত্ব প্রশাসনের।

এই ঘটনাটি অভিবাসন বিষয়ক জটিলতা এবং আইনি অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বিষয়টিকে নতুন করে সামনে এনেছে। ভুল করে একজন ব্যক্তিকে অন্য দেশে ফেরত পাঠানো এবং এরপর তাকে ফিরিয়ে আনতে কর্তৃপক্ষের দ্বিধা, মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে বিশেষভাবে উদ্বেগের বিষয়।

এই ঘটনায়, বিচার বিভাগের সক্রিয়তা এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা, ন্যায়বিচারের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়ায়।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *