ইউক্রেনের সুমি শহরে পালম সানডে’র দিনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও বহু মানুষ, যাদের মধ্যে রয়েছে শিশুরাও।
রবিবার শহরের কেন্দ্রস্থলে আঘাত হানে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলার সময় অনেক মানুষজন জনবহুল এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন, তাদের মধ্যে অনেকে ছিলেন চার্চের উদ্দেশ্যে পালম সানডে’র উৎসব পালনের জন্য।
আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একটি ট্রলিবাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাস্তার উপর মরদেহ এবং ধ্বংসস্তূপ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাস’ আখ্যা দিয়ে রাশিয়ার তীব্র নিন্দা করেছেন।
তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এই ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। জেলেনস্কি বলেন, “সন্ত্রাসীরা সাধারণ মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে। রাশিয়া ঠিক এটাই চায় এবং তারা এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করতে চাইছে।”
হামলার পরে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে পড়া আহতদের উদ্ধারে ছুটে আসে উদ্ধারকারী দল। সুমির প্রসিকিউটর অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শহরের মানবাধিকার কেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি ভবন সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।
এই হামলার কয়েকদিন আগে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন বিশেষ দূত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সেন্ট পিটার্সবার্গে বৈঠক করেন।
এর মধ্যেই এই হামলা আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। ইউক্রেন সরকার ইতিমধ্যে মিত্র দেশগুলোর কাছে অতিরিক্ত ‘প্যাট্রিয়ট’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠানোর জন্য আবেদন জানিয়েছে, যা দেশটির আকাশ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান