খরচ কমাতে এবং খাবার অপচয় রোধ করতে চান? তাহলে এই উপায়গুলো আপনার জন্য!
বর্তমান বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, যার প্রভাব পড়ছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে সীমিত আয়ের মানুষজন বেশ সমস্যায় পড়ছেন। একদিকে যেমন খাবারের দাম বাড়ছে, তেমনই খাদ্য অপচয়ও একটি বড় সমস্যা।
সঠিক সংরক্ষণের অভাবে অনেক খাবার নষ্ট হয়ে যায়, যা আমাদের আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়। তবে কিছু সহজ উপায় অবলম্বন করে আমরা খাদ্য অপচয় কমাতে পারি এবং সেই সাথে নিজেদের খরচও বাঁচাতে পারি।
আসুন, এমন কিছু স্মার্ট খাদ্য সংরক্ষণের উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক যা আমাদের খাদ্যকে দীর্ঘ সময় ধরে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে:
১. বায়ুরোধী পাত্র ব্যবহার করুন: ফল, সবজি, রান্না করা খাবার—এসব সংরক্ষণে বায়ুরোধী (airtight) পাত্রের জুড়ি নেই। বাজারে বিভিন্ন আকারের ফুড কন্টেইনার পাওয়া যায়।
এই ধরনের পাত্রে খাবার রাখলে তা সহজে নষ্ট হয় না। বিশেষ করে, তরকারি বা অন্যান্য রান্না করা খাবার ফ্রিজে রাখার সময় এই ধরনের পাত্র ব্যবহার করা খুবই উপযোগী। এতে খাবারের স্বাদ ও গুণাগুণ বজায় থাকে এবং ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে এটি সুরক্ষিত থাকে।
স্থানীয় বাজারে এবং অনলাইন শপিং সাইটে (যেমন daraz, অথবা local shops) এইসব কন্টেইনার সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়।
২. সিলিকন স্ট্রেচ ঢাকনা: একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে সিলিকন স্ট্রেচ ঢাকনা ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো বিভিন্ন আকারের হওয়ায় বাটি, প্লেট বা অন্যান্য পাত্রে সহজে ব্যবহার করা যায়।
এই ঢাকনাগুলো বাতাসরোধী হওয়ার কারণে খাবার সতেজ থাকে এবং ফ্রিজেও গন্ধ ছড়ানোর সম্ভাবনা কম থাকে। এছাড়া, ওভেন, মাইক্রোওয়েভ ও ডিশওয়াশারেও এগুলো ব্যবহার করা নিরাপদ।
৩. রুটি সংরক্ষণে ব্রেড বক্স: রুটি ও বেক করা অন্যান্য খাবার সংরক্ষণে ব্রেড বক্স ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্রেড বক্স রুটি এবং অন্যান্য বেক করা খাবারকে আর্দ্রতা থেকে রক্ষা করে এবং বাসি হওয়া থেকে বাঁচায়।
বাজারে বিভিন্ন ধরণের ব্রেড বক্স পাওয়া যায়, যা আপনার রুটি ও বেকিং সামগ্রীকে অনেক দিন পর্যন্ত সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
৪. সবজি সংরক্ষণে বিশেষ ব্যবস্থা: শাকসবজি সংরক্ষণে বিশেষ ধরনের পাত্র ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ধরনের পাত্রে সবজি রাখলে তা সহজে নরম হয় না এবং সতেজ থাকে।
বাজারে সবজি সংরক্ষণের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা কিছু পাত্র পাওয়া যায়, যেগুলোতে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকে।
৫. অতিরিক্ত খাবার সংরক্ষণে ভ্যাকুয়াম সিলিং: খাবার সংরক্ষণের জন্য ভ্যাকুয়াম সিলিং একটি কার্যকরী পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে বাতাস বের করে দেওয়ার ফলে খাবার দীর্ঘদিন সতেজ থাকে।
মাংস, মাছ বা অন্যান্য খাবার সংরক্ষণে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে।
খাবার অপচয় রোধ করা একদিকে যেমন আমাদের অর্থনৈতিক সাশ্রয় করে, তেমনি পরিবেশের জন্যও ভালো।
খাদ্য সংরক্ষণের এই সহজ উপায়গুলো অনুসরণ করে, আমরা আমাদের খাদ্যকে আরও বেশি দিন সতেজ রাখতে পারি এবং খাবারের অপচয় কমিয়ে আমাদের জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করতে পারি।
তথ্য সূত্র: People