যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টিতে (GOP) ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত আইন নিয়ে তীব্র মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। দলের নেতারা বাজেট নিয়ে একটি জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন, যেখানে ব্যয় সংকোচন এবং কর হ্রাসের পরিকল্পনা রয়েছে।
খবর অনুযায়ী, এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের (প্রায় ১ কোটি ৬৩ হাজার কোটি টাকার বেশি) ব্যয় সংকোচনের প্রস্তাব।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের মধ্যে অনেকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কাটছাঁটের বিষয়ে সন্দিহান। তারা মনে করছেন, এমনটা হলে স্বাস্থ্যখাতে দুর্বল মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ কমে যেতে পারে।
বিশেষ করে মেডিকেয়ার ও মেডিকেডের মতো গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
রিপাবলিকান পার্টির নেতারা অবশ্য বলছেন, তাঁরা সামাজিক নিরাপত্তা, মেডিকেয়ার ও মেডিকেডের সুবিধাগুলোতে কোনো প্রভাব ফেলতে চান না। কিন্তু দলের কট্টরপন্থী সদস্যরা এই নিশ্চয়তা নিয়ে সন্দিহান।
তারা বাজেট প্রস্তাবে ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের কম কাটছাঁট করতে রাজি নন। তাদের মতে, এই পরিমাণ অর্থ কাটছাঁট না করা হলে প্রস্তাবটি পাস করানো কঠিন হবে।
এই পরিস্থিতিতে, স্পিকার মাইক জনসনকে দলের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। দলের কট্টরপন্থী এবং উদারপন্থী—উভয় পক্ষের সাথেই তাকে আলোচনা করতে হচ্ছে।
একদিকে যেমন ব্যয় সংকোচনের লক্ষ্য পূরণ করতে হবে, তেমনিভাবে দলের মধ্যে বিভেদও কমাতে হবে।
জানা গেছে, বাজেট নিয়ে বিতর্কের কারণে রিপাবলিকান পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন্দল আরও বাড়ছে। কিছু সদস্য মেডিকেড সুরক্ষার বিষয়ে স্পিকারের কাছ থেকে সুস্পষ্ট আশ্বাস চেয়েছেন।
অন্যদিকে, হোয়াইট হাউস এবং রিপাবলিকান পার্টির নেতারা চান দ্রুত এই বিলটি পাস হোক, যাতে বাণিজ্য যুদ্ধ এবং ঋণ ডিফল্টের মতো বিষয়গুলো মোকাবেলা করা যায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বাজেট নিয়ে বিতর্কের ফল ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। ডেমোক্র্যাটরা বিষয়টিকে ভালোভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বাজেট প্রস্তাবের বিস্তারিত রূপরেখা চূড়ান্ত হয়নি। তবে আগামী মে মাসের মধ্যে এটি সম্পন্ন করার লক্ষ্য রয়েছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন।