তরুণীর চোখে: দক্ষিণী খাবার, ক্যাপরিতে ল্যাঙ্গোস্টাইন, আর ভালোবাসার ইতিকথা!

অভিনেত্রী তারাজি পি. হেনসন, যিনি তাঁর অভিনয় দক্ষতার জন্য সুপরিচিত, সম্প্রতি তাঁর খাদ্যপ্রেমের অভিজ্ঞতা সকলের সাথে ভাগ করেছেন। এই অভিজ্ঞতায় মিশে আছে আমেরিকার দক্ষিণের ঐতিহ্যবাহী খাবার থেকে শুরু করে ইতালির মনোমুগ্ধকর পরিবেশ, এমনকি বালির নিরামিষ ভোজন পর্যন্ত।

খাবারের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা যেন এক বিশ্ব-ভ্রমণ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে, বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ ক্যারোলিনায়, তারাজির শৈশব কেটেছে। তাঁর একটি স্মৃতি হলো, গ্রীষ্মকালে তিনি যখন তাঁর দাদা-দাদির বাড়িতে যেতেন, তখন কালো বীজের তরমুজ খেতেন।

সেখানকার খাবারগুলোর মধ্যে বারবিকিউ চিকেন ছিল অন্যতম প্রিয়। তাঁর দিদিমা এই বিশেষ চিকেন তৈরি করতেন, যা ভিনেগার দিয়ে প্রস্তুত করা হতো।

এছাড়াও, তিনি বাঁধাকপি, কলমি শাক, এবং শালগম মিশিয়ে ‘সালাদ’ তৈরি করতেন, যা তাঁদের পরিবারের সবাই খুব পছন্দ করত। এমনকি, তাঁর দিদিমা একশ বছর বয়সেও এই খাবার তৈরি করেন।

ইতালিতে থাকাকালীন সময়ে তারাজি সেখানকার খাবারের স্বাদ ও গুণগত মান দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। বিশেষ করে ইতালির তাজা খাবার তাঁর মন জয় করে নিয়েছিল।

তিনি বলেন, সেখানকার খাবারে কোনো প্রকার কৃত্রিম উপাদান ব্যবহার করা হয় না, যার কারণে তিনি ওজন না বাড়িয়েই পছন্দের সব খাবার উপভোগ করতে পেরেছিলেন।

ইতালির মনোরম পরিবেশে, বিশেষ করে ক্যাপরিতে, তাজা সি-ফুড ও ল্যাঙ্গোস্টাইন খেয়ে তিনি অভিভূত হয়েছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল, যেন তিনি তাঁর দিদিমার রান্নাঘরে ফিরে এসেছেন, যেখানে প্রতিটি খাবারে ভালোবাসার ছোঁয়া লেগে থাকত।

এরপর তিনি পাড়ি দেন ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। সেখানে তিনি নিরামিষ খাবারের অভিনবত্ব দেখে অবাক হয়েছিলেন। বিশেষ করে, কাঁঠাল দিয়ে তৈরি করা বিভিন্ন পদ তাঁর কাছে মাংসের মতোই লেগেছিল।

তিনি আরও জানান, সেখানে ফল, সবজি, এবং শস্য ব্যবহার করে এমন সুস্বাদু খাবার তৈরি করা হয় যা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। বালির একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে, তিনি পেঁপে দিয়ে তৈরি ‘টুনা’ সুশি খেয়েছিলেন, যা ছিল মাছের বিকল্প হিসাবে অসাধারণ।

তারাজি ‘মোসকাটো’ নামক হালকা মিষ্টি ওয়াইন পান করতে ভালোবাসেন। তাঁর মতে, যারা এখনো ওয়াইন সম্পর্কে তেমন ধারণা রাখেন না, তাঁদের জন্য মোসকাটো একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।

কারণ এটি পানের জন্য সহজ এবং খুব বেশি মিষ্টিও নয়। তিনি একবার সেভেন ডটার্স মোসকাটো দিয়ে একটি বিশেষ ককটেল তৈরি করেছিলেন, যেখানে আনারস এবং নারকেলের রস ব্যবহার করা হয়েছিল।

খাবারের প্রতি তারাজির এই ভালোবাসা, বিভিন্ন সংস্কৃতির খাদ্য-অভিজ্ঞতা, এবং তাজা উপাদানের প্রতি আকর্ষণ, আমাদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা।

তথ্য সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *