প্রিমিয়ার লিগে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের (Wolves) কাছে টটেনহ্যাম হটস্পার্সের (Spurs) অপ্রত্যাশিত পরাজয়, কোচ অ্যাঞ্জ পোস্টেকোগলুর (Ange Postecoglou) উপর চাপ আরও বাড়িয়েছে। খেলার শুরুতেই রায়ান আইট-নুরির (Rayan Aït-Nouri) করা গোলে পিছিয়ে পরে স্পার্স।
এরপর নিজেদের দুর্বল পারফর্মেন্সের কারণে আরও কয়েকটি গোল হজম করে তারা।
ম্যাচের শুরুতেই, খেলা শুরুর মাত্র ৮৫ সেকেন্ডের মাথায়, ওল্ফসের হয়ে প্রথম গোলটি করেন রায়ান আইট-নুরি।
এরপর স্পার্সের খেলোয়াড় ডেড স্পেন্সের আত্মঘাতী গোল এবং জর্গেন স্ট্র্যান্ড লারসেনের (Jørgen Strand Larsen) গোলে ওল্ভস ২-০ তে এগিয়ে যায়। টটেনহ্যামের অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোর (Cristian Romero) একটি ভুল এই গোলের কারণ হয়।
ম্যাচের চতুর্থ গোলটি করেন ম্যাথিউস কুনহা (Matheus Cunha)।
ম্যাচে টটেনহ্যামের পারফরম্যান্স ছিল খুবই হতাশাজনক। দলের ডিফেন্স ছিল বেশ দুর্বল, এবং আক্রমণভাগে তারা তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।
রিচার্লিসনের (Richarlison) একটি গোল ছাড়া বলার মতো কিছুই করতে পারেনি স্পার্স। দলের নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় সন হিউং-মিন (Son Heung-min) পায়ের ইনজুরির কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি, যা দলের জন্য বড় একটি ধাক্কা ছিল।
এই হারের ফলে, টটেনহ্যামের আসন্ন ইউরোপা লিগের ম্যাচে ভালো করার সম্ভাবনাও কমে গেছে। দলের পারফরম্যান্সে হতাশ হয়ে গ্যালারিতে বসে খেলা দেখছিলেন ক্লাব চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল লেভি।
কোচ অ্যাঞ্জ পোস্টেকোগলু দলের কৌশল পরিবর্তন করার চেষ্টা করলেও, তা কাজে আসেনি।
অন্যদিকে, ওল্ভসের আক্রমণভাগ ছিল বেশ শক্তিশালী। রায়ান আইট-নুরির প্রথম গোলের পর, তারা খেলার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখে এবং একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যায়।
এই জয়ে উলভারহ্যাম্পটন দলটির আত্মবিশ্বাস বেড়েছে, এবং তারা তাদের পরবর্তী ম্যাচের জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হতে পারবে।
এই হারের ফলে, টটেনহ্যামের শীর্ষ চারে থাকার স্বপ্নও কঠিন হয়ে পড়েছে। এখন তাদের ইউরোপা লিগের ম্যাচে ভালো ফল করতে হবে, না হলে তাদের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে যাবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান