একুয়েডরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: মাদক-সহিংসতার ছায়ায় ভবিষ্যতের দিশা।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ একুয়েডরে এখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্ব চলছে। দেশটির ভোটাররা তাদের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট দিচ্ছেন, যেখানে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া এবং বামপন্থী আইনজীবী লুইসা গঞ্জালেজ।
তবে এই নির্বাচনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সহিংসতা, যা এক সময়ের শান্ত এই দেশটিকে গ্রাস করেছে।
নির্বাচনে ভোটারদের প্রধান উদ্বেগের কারণ হলো দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অনেক ভোটারের মতে, এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সমাজে শান্তি ফিরিয়ে আনা, কারণ তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, অনেকেই মনে করছেন, নিরাপত্তা যেন ভেঙে পড়েছে। তাই, যিনিই নির্বাচিত হয়ে আসুন না কেন, তাদের প্রধান কাজ হবে সহিংসতা কমানোর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা।
এবারের নির্বাচনে নোবোয়া পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার চেষ্টা করছেন। এর আগে ২০২৩ সালের বিশেষ নির্বাচনে তিনি গঞ্জালেজকে পরাজিত করেছিলেন।
নোবোয়া তাঁর পূর্বসূরীর মেয়াদ পূরণ করার জন্য এই বিশেষ নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এবার তিনি পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য লড়ছেন।
ক্ষমতায় টিকে থাকলে গ্যাং ও মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে তাঁর বিতর্কিত যুদ্ধ जारी রাখার সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও এর ফল এখনো পর্যন্ত সীমিত।
অন্যদিকে, লুইসা গঞ্জালেজ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়ার রাজনৈতিক আদর্শের অনুসারী। তিনি নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য প্রতিরোধ, সহিংসতা হ্রাস এবং সহাবস্থানের মতো বিষয়গুলোর ওপর জোর দিচ্ছেন।
গঞ্জালেজ ‘একুয়েডরকে পুনরুজ্জীবিত করুন’ এই স্লোগান নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য তিনি সামাজিক খাতে ব্যয় বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তাঁর দল মনে করে, তাঁরা আশা ও পরিবর্তনের প্রতীক, যেখানে নোবোয়া ভয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন।
একুয়েডরের পরিস্থিতি বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশটিতে সহিংসতার মাত্রা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরে এ পর্যন্ত এক হাজারের বেশি মানুষ খুন হয়েছেন। অপরাধ গবেষণা সংস্থা ইনসাইট ক্রাইমের তথ্যমতে, লাতিন আমেরিকায় বর্তমানে একুয়েডরের মানুষ খুন হওয়ার হার সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদি আমরা দেখি, তাহলে মাদক ও সন্ত্রাস দমনে আমাদের সরকারও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
যদিও একুয়েডরের চ্যালেঞ্জগুলো ভিন্ন, তবুও এক্ষেত্রে আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংবাদ সংস্থা সিএনএন-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।