ট্রাম্পের শুল্ক নিয়ে ফের ধোঁয়াশা! স্মার্টফোন ও কম্পিউটারে কি বাড়ছে কর?

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যনীতি নিয়ে আবারও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা, যা দেশটির অর্থনীতিকে আরও এক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ঘোষণার পর ইলেক্ট্রনিক পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ নিয়ে দেখা দিয়েছে এই জটিলতা।

জানা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসন ইলেক্ট্রনিক পণ্য—যেমন স্মার্টফোন ও কম্পিউটারের ওপর শুল্ক আরোপের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করছে। তাঁর বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুতনিক সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান, এই পণ্যগুলোর ওপর থেকে শুল্ক ছাড় সাময়িক এবং খুব শীঘ্রই নতুন শুল্ক আরোপ করা হবে।

এমনকি সেমিকন্ডাক্টর বা অর্ধপরিবাহী চিপের ওপরও শুল্ক বসানো হতে পারে।

অন্যদিকে, ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর মার্কিন বাজারে দেখা যায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। শেয়ার বাজারে কিছুটা উত্থান-পতন হয়। প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপল এবং চিপ প্রস্তুতকারক এনভিডিয়ার শেয়ারের দামও প্রভাবিত হয়।

যদিও ট্রাম্প পরবর্তীতে এক বিবৃতিতে জানান, ইলেক্ট্রনিক পণ্যের ওপর শুল্ক ছাড়ের কোনো বিষয় ছিল না। তিনি বলেন, শুল্ক কেবল ভিন্ন খাতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

অর্থনীতিবিদ ও বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ট্রাম্পের এই বাণিজ্যনীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিতে পারে। বিনিয়োগকারী বিলিয়নেয়ার রে ডালিও আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, মন্দার চেয়েও খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

তাঁর মতে, বর্তমান পরিস্থিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের মুহূর্ত এবং এর সঠিক সমাধান না হলে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে, ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা পিটার নাভারো এবং প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের মধ্যে শুল্ক বিষয়ক মতবিরোধ নিয়েও আলোচনা চলছে। মাস্ক একসময় নাভারোকে ‘বোকা’ বলে মন্তব্য করেছিলেন, তবে নাভারো জানিয়েছেন তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে, পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জশ শাপির বাসভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা, সন্ত্রাসবাদ ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হবে।

এছাড়াও, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প স্বাস্থ্যগতভাবে সম্পূর্ণ ফিট আছেন এবং নিয়মিত ওষুধ সেবনের মাধ্যমে উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন।

এদিকে, ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক একটি কর্মসূচিতে কাটছাঁট করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী ও তাঁদের আইনজীবীরা।

সবশেষ, যুক্তরাষ্ট্র এল সালভাদরে আরও ১০ জন সন্দেহভাজন গ্যাং সদস্যকে ফেরত পাঠিয়েছে। এছাড়াও, ইউক্রেনে রাশিয়ার চালানো পাম সানডে হামলার ঘটনা ওয়াশিংটনকে মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *