ডিমের রং করতে বাথরুমের কান্ড! ভিডিও দেখে সবাই হতবাক!

সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড়, বাথরুমে ডিম রাঙানোর ভিডিও বানিয়ে বিপাকে ‘ইনফ্লুয়েন্সার’

সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, অনেক কিছুই এখন ভাইরাল হওয়ার দৌড়ে। সম্প্রতি তেমনই এক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন কেট হেইন্টজম্যান নামের একজন ‘ইনফ্লুয়েন্সার’।

ইস্টার উপলক্ষে ডিম রাঙানোর একটি ভিডিও তৈরি করেন তিনি। তবে ডিম রাঙানোর স্থানটি ছিল তার বাথরুমের কমোড! আর এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরেই শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা।

ভিডিওতে দেখা যায়, কেট তার বাথরুমের কমোডে ডিম রাখেন। এরপর সেখানে বিভিন্ন রং এবং অন্যান্য উপাদান মিশিয়ে ডিম রাঙানোর প্রক্রিয়া শুরু করেন।

ভিডিওটির ক্যাপশনে তিনি এটিকে ‘ডিম রাঙানোর সেরা উপায়’ হিসেবে উল্লেখ করেন। যদিও নেটিজেনদের (ইন্টারনেট ব্যবহারকারী) কাছে বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি।

ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই বহু নেতিবাচক মন্তব্য আসতে শুরু করে।

ভিডিওর নিচে একজন মন্তব্য করেছেন, “আমি এটা আমার থেরাপিস্টকে দেখিয়েছিলাম, এখন তিনিও থেরাপিতে!” অনেকে খাবার তৈরির এমন ‘অস্বাস্থ্যকর’ পদ্ধতির কারণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খাবার নিয়ে যাওয়ার (potluck) ধারণার প্রতিও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।

সাধারণত, কোনো অনুষ্ঠানে সবাই মিলে খাবার নিয়ে গেলে সেই আয়োজনকে ‘পটলক’ বলা হয়।

শুধু ডিম রাঙানোই নয়, এর আগেও কেট একই বাথরুমে একটি টার্কি (বিশেষ ধরনের মুরগি) রান্না করে সমালোচিত হয়েছিলেন।

সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, যারা এই খাবার খেয়েছেন, তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে।

যদিও ইস্টার উৎসব বাংলাদেশে সেভাবে পরিচিত নয়, তবে পশ্চিমা বিশ্বে এই দিনে ডিম রাঙানোর একটি বিশেষ ঐতিহ্য রয়েছে।

সাধারণত, এই উৎসবে শিশুরা ডিম রাঙানোতে মেতে ওঠে।

এই ঘটনার জেরে অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি এবং খাবার তৈরির ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সচেতন হওয়ার কথা বলছেন।

বাথরুমে ডিম রাঙানোর এই অভিনব পদ্ধতি একদিকে যেমন হাস্যকর, তেমনই তা স্বাস্থ্য ঝুঁকিরও কারণ হতে পারে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *